প্রতিবেদন : যা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের সেটাই করে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় মৃত ও আহত এবং অঙ্গহানি-হওয়া হতভাগ্য মানুষগুলির পাশে সবরকম ভাবে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক অনন্য নজির রাখলেন। ভয়াবহ এই রেল দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের অসহায় পরিবারগুলি পেল মমতার স্পর্শ। মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিকতায় গাঢ় অন্ধকারেও তারা খুঁজে পেলেন আলোর রেখা। সোমবার রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের সঙ্গে এবার তাঁদের পরিবারপিছু একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এমনকী এই দুর্ঘটনায় যাঁদের অঙ্গহানি হয়েছে কিংবা যাঁরা একেবারে অথর্ব হয়ে গিয়েছেন মানবিকতার খাতিরে তাঁদেরও পরিবারপিছু একজন করে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের কয়েকটি দেহ আসে। নবান্নের টোল প্লাজায় তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ৫৩ জন ভর্তি আছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করতে তিনি আগামিকাল মঙ্গলবার কটক যাচ্ছেন। সঙ্গে যাবেন আরও দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আজ উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ আনা, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বাংলার মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানোকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। তবে চলতি সপ্তাহের শনিবার পাহাড়-সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, কটকের হাসপাতালে ভর্তি ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর সংযোজন, বাংলার অফিসাররা দিনরাত কাজ করছেন ওড়িশায় পড়ে থেকে। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল তাই কাজ করতে কোনও অসুবিধে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ভাবে হেরে আমার পরিবারকে টার্গেট: অভিষেক
এ-ছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফে গুরুতর আহতরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন ১ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে। হাওড়ায় যে আহতরা আসবেন বা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে মন্ত্রী অরূপ রায় ও পুলক রায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাঁদের হাত-পা বাদ গিয়েছে, অথর্ব হয়ে গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে হোমগার্ডের চাকরি। জ্ঞানেশ্বরী-সাঁইথিয়া সিবিআইকে দিয়েছি। কোনও রেজাল্ট নেই। আসল কাজ করব, নাকি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক কচকচি করব! মেদিনীপুরেও অফিসাররা গিয়েছেন। এরা মৃত্যুমিছিল ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যা খুশি তাই করছে। আমি এই কম্পিটিশনে নেই।
চাকরি ও ক্ষতিপূরণ
* চাকরি মৃতদের পরিবারপিছু একজন ও অঙ্গহানি যাঁদের তাঁদের পরিবারপিছু একজনকে।
* মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা, অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।
* ট্রমায় আক্রান্তদের এককালীন ১০ হাজার টাকা ও ৪ মাস ২০০০ টাকা করে, সঙ্গে খাদ্যসামগ্রী।
বুধবার ইনডোর স্টেডিয়ামে ক্ষতিপূরণ ও অর্থ সাহায্য।