প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অযাচিতভাবে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) বিদেশ যেতে না দেওয়া এবং বিমানবন্দরেই তলবি নোটিশ ধরানোয় ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, এটা অমানবিক। রুজিরার (Rujira Banerjee) মা খুব অসুস্থ। ও এজেন্সিকে আগেই জানিয়েছিল যে দুবাই যাবে। তখন তারা কিছু বলেনি। কিন্তু বিমানবন্দরে ওকে আটকায়। ওখানেই নোটিশ ধরিয়ে ডেকে পাঠায়। কী চলছে দেশে! সোমবার সকাল ৭টায় রুজিরা তাঁর সন্তানদের নিয়ে দুবাইয়ের বিমান ধরতে বিমানবন্দরে পৌঁছন। কিন্তু অভিবাসনের জন্য গেলে তাঁকে বলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ রয়েছে। ফলে তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। সেখানেই তাঁকে নোটিশ ধরিয়ে ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের বাইরে যেতে কোনও বাধা নেই রুজিরার। এরপরেও কেন এই আচরণ ইডির? এখানেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হেনস্থার কথা উঠে আসছে। দলের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজনৈতিকভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পেরে না উঠে ব্যক্তিগতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। কাপুরুষ ছাড়া এ-জিনিস কেউ করে না।
কী বলেছিল শীর্ষ আদালত :
১. তলবের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে।
২. জিজ্ঞাসাবাদের আগে সিপি ও মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে নিরাপত্তার জন্য।
৩. ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, রুজিরার ভ্রমণে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
গত বছর ৫ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর আমেরিকা ঘুরে এসেছেন রুজিরা, তখন তাঁকে আটকানো হয়নি। দুবাই যাওয়ার জন্য ৩ জুন আবেদন জানান। ৫-১৩ জুন তিনি দুবাইয়ে থাকবেন বলেও জানান। তখনও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি।
সোমবার, দুবাই যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে আটকে রুজিরাকে নোটিশ ধরায় ইডি। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার থাকার পরেও কেন তাঁকে আটকানো হল! যদি বিদেশ ভ্রমণে আটকানোর কথাই থাকে, তাহলে গতবছর আমেরিকা সফরের আগে আটকানো হল না কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনজোয়ার দেখে, ভয় পেয়েই কি মোদি সরকার এজেন্সি দিয়ে তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করছে— এখন এই প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: আজ আহতদের দেখতে কটকে মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে যাবেন শশী ও চন্দ্রিমা