প্রতিবেদন : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মধ্যপ্রদেশের এক সরকারি ভবনে। আর তাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পুড়িয়ে নষ্ট করার অভিযোগ তুলল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। সোমবার বিকেলে ভোপালের সাতপুরা ভবন কমপ্লেক্সে বড় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা বাড়িটাই জ্বলে ওঠে। আগুন নেভাতে তলব করা হয় সেনা। সাতপুরা ভবন কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস রয়েছে। ভোপালের জেলাশাসক আশিস সিং জানিয়েছেন, সেনা ও সিআইএসএফ কর্মীদের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার ভোররাতে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সময়মতো ওই অফিসে কর্মরত সব আধিকারিক ও কর্মীদের বের করে আনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন-ট্যুইটার বন্ধের হুমকি দেয় মোদি সরকার
ভোপালের পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণচারী মিশ্র বলেছেন, সোমবার বিকেল ৪টা নাগাদ ভবনের তৃতীয় তলায় উপজাতি কল্যাণ দফতরের অফিসে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ভোররাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্য চাইতে বাধ্য হন। এরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নির্দেশে বায়ুসেনার দু’টি বিমান ভোপালে আসে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-পোড়ানো হয়েছে ২৫৩টি চার্চ, দাবি কুকিদের
মধ্যপ্রদেশের এই বিরাট অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এবার আগুন রাজ্য-রাজনীতির ময়দানেও। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস বিধায়ক জিতু পাটোয়ারি ট্যুইট করেছেন, ওই ভবনে আমাদের স্বাস্থ্য দফতরের অফিস রয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, আগুন লেগেছে, নাকি লাগানো হয়েছে? প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরুণ যাদব ট্যুইট করেছেন, যখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জব্বলপুরে দুর্নীতির কথা বলছিলেন, ঠিক সেই সময়ই সাতপুরা ভবনে আগুন লাগে। এটা কি আগুনের অজুহাতে কেলেঙ্কারির নথি পোড়ানোর ষড়যন্ত্র? বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার এই আগুন-রাজনীতির আঁচ মধ্যপ্রদেশের প্রশাসনিক অলিন্দে।