তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে বার বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন বাংলার বকেয়া কেন্দ্র আটকে রাখতে পারবে না। দিল্লি থেকে প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে আনবেন তিনি। যাদের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে প্রয়োজনে তাদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে অভিষেকের সেই আন্দোলনকে অনুমোদন দিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বৈঠক শেষে দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হল পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) শেষ হলে বকেয়া আদায়ে দিল্লি গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করবে তৃণমূল।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেশিরভাগ মানুষ ভাবেন ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা রাজ্য সরকার দেয়। কিন্তু অভিষেক বারবার বলেছেন এই প্রকল্পের একটা পার্সেন্টেজ কেন্দ্র দেয় বাকিটা রাজ্য দেয়। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার এই যে টাকা পাচ্ছে না মানুষ। এই বকেয়া টাকা আদায়ে আমরা বৃহত্তর আন্দলনে নামব। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলে ১০ লক্ষ মানুষকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।” অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারেও বাংলার প্রাপ্য টাকা আদায়ে আন্দোলনের রাশ বেধে দিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: BJP-র সঙ্গে আঁতাত ফাঁস, তৃণমূলের নিশানায় বিরোধীরা, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সাংবাদিক বৈঠক থেকে এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাক বা না থাক তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, ২০১৩ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৬ বিধানসভা, ২০১৯ লোকসভা, ২০২১ বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছে, আর প্রতিবার বিপুল জনসমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। সুতরাং কেন্দ্রীয় বাহিনীতে কিছু যায় আসে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসে। তাঁকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলো কি না এলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।”