কেদারনাথে (Kedarnath) এবার আর্থিক তছরুপের (corruption) অভিযোগ এল। সোনার মোড়ক ঘিরে ১২৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল। মন্দিরের বর্ষীয়ান পুরোহিত সন্তোষ ত্রিবেদী (Santosh Trivedi) এই ধরণের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি ‘চারধাম মহাপঞ্চায়েত’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষ তার এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে।
আরও পড়ুন-পনিরের মধ্যে পলিথিনের টুকরো, বন্দে ভারতে খাবার নিয়ে টুইট যাত্রীর
তিনি বলেন কেদারনাথ মন্দিরে সোনার মোড়কের কাজ ঘিরে ১২৫ কোটি টাকার জালিয়াতি হচ্ছে। সোনার জায়গায় পিতল ব্যবহার করা হচ্ছে মোড়কে। বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি যদিও সেই অভিযোগকে একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি। মন্দির কমিটি জানিয়েছে কেলেঙ্কারির অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ভুয়ো তথ্যের ভিত্তিতে ভাইরাল হচ্ছে। কিন্তু জানা গিয়েছে ২৩০ কেজি সোনা এক ব্যবসায়ী কেদারনাথ মন্দিরে দিয়েছিলেন। ঠিক হয়েছিল, সেই সোনা দিয়ে গর্ভগৃহের ভিতরের বেশ কয়েকটি অংশে মোড়ক দেওয়া হবে। এই অবস্থায় সন্তোষ ত্রিবেদীর অভিযোগ, সোনার বদলে ওই মোড়ক তৈরি হয়েছে পিতল দিয়ে।
আরও পড়ুন-‘আপনাদের জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে’, CESC-কে ভর্ৎসনা অরূপ বিশ্বাসের
এই ঘটনা ঘিরে তদন্ত করা হোক বলেও দাবি জানান পুরোহিত। সন্তোষ ত্রিবেদী স্পষ্ট করেই বলেন তদন্তের দাবি মানা না হলে তিনি বৃহত্তর প্রতিবাদের পথ বেছে নেবেন। তিনি এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছেন। চারধাম মহাপঞ্চায়েত এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্তোষ ত্রিবেদী মনে করছেন, গর্ভগৃহের অংশে সোনার মোড়ক দেওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি। সেটা কেদারনাথ মন্দিরের ঐতিহ্যের বিরোধী বলেই তিনি বিরোধিতা করেন। এই ধরণের জালিয়াতি ধর্মের প্রতি ভাবাবেগে আঘাত বলেই তিনি মনে করেন। যদিও বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায় কেদারনাথের মন্দিরে ২৩,৭৭৭.৮০০ গ্রাম সোনা ব্যবহার করা হয়েছে । যার খরচ ১৪.৩৮ কোটি টাকা।