সংবাদদাতা, আরামবাগ : ‘২০১১ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে রাজ্যের নাগরিকদের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দৌলতে গত দু’বছরে, রাজ্যের ২.১২ কোটিরও বেশি মহিলা উপকৃত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির মহিলারাও। কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী, সব বয়সি মানুষের চাহিদা মেটাতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন।’
আরও পড়ুন-বাবুলের বাইক প্রচার
বৃহস্পতিবার আরামবাগের বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতে এক জনসভায় বললেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। বিজেপির বিভেদমূলক রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে সৌগত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকারই বাংলার উন্নয়ন এবং অগ্রগতি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হতে পারে। সৌগতর সঙ্গে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবং অন্য নেতারা হুগলি পরিদর্শন করেন এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা, উদ্বেগের বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। তারপর জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় সৌগত এ-ও তুলে ধরেন যে কীভাবে বিজেপি ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ তহবিল আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে। বলেন, বিজেপি ১০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করতে পারে কিন্তু ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে পারে না। বিজেপি বিধায়কেরাও নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেন না, রাজ্যকে একা ছেড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-হাইব্রিড মডেলেই ফেরত পিসিবির নাটক অব্যাহত
যাই হোক, আমাদের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার স্থানীয়দের ভালমন্দ, চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত। তাঁর উদ্যোগেই ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মধ্যে পানীয় জল প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে। সৌগত আরও বলেন, তৃণমূল মানে উন্নয়ন, যেখানে বিজেপি কেবল রাজনীতির মধ্যে ধর্মকে আনতে জানে।