প্রতিবেদন : নন্দীগ্রামে ফের বিজেপিতে ভাঙন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী আবহে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির স্থানীয় কয়েকজন যুব মোর্চা ও মণ্ডল নেতা। এদিন নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এলাকার বিশিষ্ট কীর্তন শিল্পী সুকুমার কীর্তনিয়া এদিন তাঁর পুরো দল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
আরও পড়ুন-সমুদ্রে ট্রলারডুবি-প্রাণহানি ঠেকাবে নতুন প্রযুক্তি
এছাড়া যুব মোর্চার দুই নেতা রামপদ দেবনাথ ও সুব্রত দেবনাথও একই সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নে শামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এঁদের সঙ্গে এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ গোকুল মান্নাও তৃণমূলে যোগ দিলেন। ১৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া শেখ মনসুর আলি এদিন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তৃণমূলের সমর্থনে তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেন। দলের অনুগত কর্মী হিসেবে ফের কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁর নাম নির্দল হিসেবে ব্যালটে থাকছে। শীঘ্রই তিনি তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনগণকে জানিয়ে দেবেন। নবজোয়ার যাত্রায় দুপুরের চড়া রোদে ২০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে নন্দীগ্রামে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-জোড়া ফুলেই ভোট সকাল থেকেই ব্যাপক সাড়া শিয়ালদহে
সেই পদযাত্রার অনুকরণ করতে গিয়ে মুখ পুড়েছে গদ্দার অধিকারীর। বুধবার নন্দীগ্রামের বাইরে থেকে লোকজন জুটিয়ে নন্দীগ্রামে মাত্র ২ কিলোমিটার পদযাত্রা করে গদ্দার অধিকারী। কিন্তু নন্দীগ্রামবাসী তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূলের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। সেই বার্তা দিতেই আগামী ২৫ জুন নন্দীগ্রামে বিরাট পদযাত্রার আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পদযাত্রায় হরিপুর, ভেকুটিয়া ও নন্দীগ্রাম এই তিন এলাকার মানুষ অংশ নেবেন। একই সঙ্গে আগামী কয়েকদিন ধরে নন্দীগ্রামে নিবিড় জনসংযোগ করবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।