সংবাদদাতা, হাওড়া : ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গ্রাম বাংলার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় রাজ্যে চালু হওয়া জনমুখী প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হয়েছেন। যার ছবি এবারের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে ফুটে উঠবে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এবারও বিপুলভাবে জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস।’’
আরও পড়ুন-দূষণ রুখতে এবার ব্যাটারি চালিত ভেসেল
মঙ্গলবার সাঁকরাইল বিধানসভার কান্দুয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটের প্রচারে এসে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ভোটের প্রচারে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তোলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক প্রিয়া পাল, দক্ষিণ হাওড়া কেন্দ্রের তৃণমূল সহ-সভাপতি তপন পাল-সহ দলের অনেকেই। প্রথমে এলাকার একটি শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারাভিযান শুরু করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এরপর কান্দুয়া পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৩ কিমি পথ পদযাত্রা করেন অর্থমন্ত্রী। পদযাত্রার শেষে হয় জনসভা। তারপর কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠকের শেষে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন-পিরান-ই-পিরের মাজারে চাদর চড়িয়ে ভোটপ্রচারে মৌসম
রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা সবাই ঠিকঠাক পাচ্ছেন কি না তা জানতে চান মন্ত্রী। উপস্থিত গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই মন্ত্রীর এইভাবে রাস্তায় নেমে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চাওয়া দেখে অভিভূত। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিরোধীরা যখন কুৎসা ও অপপ্রচার চালাতে ব্যস্ত, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব সবসময় মানুষের পাশে থাকছেন। সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চাইছেন। ভোটে এই দল জিতবে না তো আর কে জিতবে?
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের বই, প্রতিবাদে রাজভবনে চিঠি তৃণমূলের
অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে বিজেপির স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। সবাই এখন জেনে গিয়েছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কীভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে রাজ্যবাসীর ন্যায্য অধিকারের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এর যোগ্য জবাব পেয়ে যাবে বিজেপি।’’ কান্দুয়ার পর আন্দুল পঞ্চায়েত এলাকাতেও মঙ্গলবার ভোটের প্রচার সারেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।