সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে বাংলাকে হেনস্তা করতে চাইছে বিজেপি। যেমনটি গভর্নরকে দিয়ে একইভাবে চেষ্টা করছে কেন্দ্র। পরিকল্পনা হচ্ছে দিল্লিতে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মুখপাত্র হিসেবে ক্রেডিট নিতে চাইছেন মাত্র। এভাবেই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) পিএইচডি ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)।
আরও পড়ুন- মিডিয়ার মিথ্যাচার গ্রামের মানুষই রুখে দেবেন
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) তৃণমূল ছাত্রছাত্রী ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে চলতি বছরের ১৯ জুন জানানো হয়, তাঁর পিএইচডি সম্পূর্ণ করার জন্যর দুই বছরের ছাড়ের আবেদন রিসার্চ বোর্ড বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩.২ ধারা অনুযায়ী। মীনাক্ষী দিল্লির কাউন্সিল অফ ফিলোজফিক্যাল রিসার্চ থেকে ফেলোশিপ নিয়ে আংশিক কর্মী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ তথা ইতিহাসের অধ্যাপিকা বিপাশা রাহাকে দর্শন ও তুলনামূলক ধর্ম বিভাগের প্রধান করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপাচার্যকে। তারপরই মীনাক্ষী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখে জানান, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব তাঁর পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে ভুল তথ্য রয়েছে। একজন মহিলা হিসেবে পিএইচডি সম্পূর্ণ করার জন্য সময়সীমার ক্ষেত্রে রিলাক্সসেশনে দুই বছরের ছাড় চাওয়া হয় পিএইচডি অর্ডিন্যান্সের ৩.৩ ধারায়। কিন্তু মীনাক্ষীর ক্ষেত্রে ৩.২ ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভুল। তাছাড়া মীনাক্ষীর বক্তব্য শোনা বা আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনও সুযোগ না দিয়ে স্বৈরাচারী আচরণ করা হয়েছে। এছাড়াও মীনাক্ষীর পিএইচডি সুপারভাইজর দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শুভ্রজ্যোতি দাসকে সাসপেন্ড করা হয়। যা কলকাতা হাইকোর্ট ২১ মে বাতিল করে তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতীকে। মীনাক্ষী বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্রছাত্রী ইউনিটের সভানেত্রী হলেও একজন ছাত্রী। তাঁর প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষা মহল। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বভারতীতে বর্তমান উপাচার্যের গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে মীনাক্ষী সোচ্চার হন। সেই কারণে এই প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন অনেকেই।