সংবাদদাতা, কাটোয়া: বোধন হয়। রীতি-নিয়ম মেনে চারদিন ধরে পুজোও হয়। অন্যান্য দুর্গার ভাসান হলেও কালনা শহরের পাথুরিয়ামহলের বিসর্জনহীন দুর্গাপুজো হয় মঙ্গলকোটের জয়পুরের রায় পরিবারে। কালনার পাথুরিয়ামহলের জয়দুর্গা পুজোর বয়স প্রায় ৪০০ বছর। সেই সময়ে এলাকার চাটুজ্জে পরিবারের বালির ব্যবসায় ভালই পসার হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসা বেশিদিন ভাল না চলায় গোটা পরিবার কালনা ছেড়ে আড়িয়াদহ চলে যায়। যাওয়ার সময় পরিবারের জয়দুর্গার নিত্যসেবার ভার কুলপুরোহিত রামধন মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়ে যান।
আরও পড়ুন-দেবীকে লন্ঠন জ্বেলে পথ দেখান রহিমরা
এই পরিবারের বর্তমান সদস্য অমিত মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘দশমীর সন্ধ্যায় মূর্তির বদলে বিসর্জন হয় কলাবউয়ের। ঢাক বাজে না। বাজে শুধু কাঁসর, ঘন্টা, শাঁখ।’ ১২ বছর পরপর এই মূর্তির অঙ্গরাগ হয়। এখানকার প্রতিমার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মী বা সরস্বতী থাকলেও কার্তিক, গণেশ থাকেন না। মঙ্গলকোটের জয়পুরের রায় পরিবারের বিসর্জনহীন দুর্গাপুজো চলে আসছে ১০০ বছরেরও বেশিদিন ধরে। এখানকার দুর্গা পটে আঁকা। দশমী তিথিতে পটে আঁকা দুর্গাকে দোলায় চাপিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করিয়ে পুকুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। পুকুরের জল সামান্য ছিটিয়ে ফের মন্দিরে আনা হয়। জানা গেল, গ্রামের বাসিন্দা গিরিশ রায় দুর্গা বিসর্জন না করার স্বপ্নাদেশ পান।