সংবাদদাতা, নানুর: লাল ও গেরুয়া সন্ত্রাস কীভাবে সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টায় আছে তার উল্লেখ করে শুক্রবার নানুরের বাসাপাড়া সভামঞ্চ থেকে দুটি দলকেই ‘ঘেউ ঘেউয়ের’ দল বলে কটাক্ষ করলেন মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা।
আরও পড়ুন-মালদহ সভার প্রস্তুতি
তিনি বলেন, ‘বাম আমলে এই নানুরের সুঁচপুরের মাটিতে লাল সন্ত্রাস দেখেছেন। ওরা আগেও বিধানসভায় ঘেউ ঘেউ করেছে। রাষ্ট্রপতির শাসন চেয়েছে। বিজেপির সঙ্গে এক সুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। এখন বিশ, পঁচিশ, পঞ্চাশ দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন চাইছে। তৃণমূল চিরদিনই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। অনেক জায়গায় দল মনোনয়নপত্র জমা দিতে বিরোধীদের সাহায্য করেছে। এখন ওরা ঘেউ ঘেউ করে বলছে, এজেন্ট দিতে দিচ্ছে না। বিরোধী দলনেতা দলীয় কর্মীদের বলছেন, কোথাও ভোট কম পড়লে, ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিন। একথা বলা যায়? কোনও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বানচাল করার প্ররোচনা ছাড়া এটা কী হতে পারে?’ শুক্রবার নানুরের এই বিশাল জনসভায় ৩১১টি বুথের বহু মানুষের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা হাজির ছিলেন। মন্ত্রী শশী পাঁজা ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক বিধান মাঝি এবং বীরভূম জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী কাজল শেখ।
আরও পড়ুন-যখন খুশি মাতৃত্ব
কাজল বলেন, যে বাম দল আমার পরিবারকে খুন করেছে, সুঁচপুরে গণহত্যা করেছে, তারাই নানুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মানুষ যখন তাদের বাধা দিয়েছিল, তখন দিদির নির্দেশে ওদের ব্লক অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে এসেছি। যাতে সুষ্ঠুভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। কিন্তু যদি প্রচারে না বের হয়ে রাতের অন্ধকারে টাকা আর মদ দিয়ে ভোট কিনতে আসে, তাহলে ছেড়ে কথা বলব না। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলে মেনে নেওয়া হবে না।’ শুক্রবারের পথসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শশী পাঁজা বলেন, ‘বিজেপি দলটি কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছে।’ প্রসঙ্গত, শিক্ষা-দুর্নীতিতে বিধায়ক সায়নী ঘোষকে ডেকেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজার মন্তব্য, ‘আইন আইনের পথে চলবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’