সংবাদদাতা, হাওড়া : পঞ্চায়েত ভোটের আগে শেষ রবিবারসরীয় ভোটপ্রচারে আমতায় ঝড় তুললেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সকাল থেকে কখনও জনসভা, কখনও কর্মিসভা, আবার কখনও মিছিল ও জনসংযোগের মাধ্যমে প্রচার চালান অর্থমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী ও দলীয় প্রার্থীরা। প্রথমে সিরাজবাটি অঞ্চলে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন।
আরও পড়ুন-খড়্গপুর আইআইটিতে লাগল আগুন, হতাহতের খবর নেই
এর পর জনসভায় ভাষণ দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘মিছিলের দুধারে উৎসাহী মানুষের যেরকম ভিড় দেখলাম তাতে বোঝা যাচ্ছে গ্রাম বাংলা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে তৈরি। বিরোধীদের অস্তিত্বও নেই। একটাই দল তৃণমূল। অন্য দলের উপস্থিতি শুধু টেলিভিশনে। বিরোধীরা ভোটের আগে প্ররোচনা ছড়িয়ে গোলমাল পাকাতে চাইছে। তাই ভোটের আগে হিংসার বলি তৃণমূল কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি। এই অবস্থায় সতর্ক থাকতে হবে। বিরোধীদের প্ররোচনায় কোনওভাবেই পা দেওয়া চলবে না। বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-আবারও পঞ্চায়েতের প্রচারে নেত্রী, তবে করবেন ভার্চুয়ালি প্রচার সভা
শনিবার কোচবিহারে সারাদিন বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাটান উনি। একবারও আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যাননি। সমালোচনার মুখে পড়ে রবিবার হাসপাতালে দেখতে যেতে বাধ্য হন। রাজ্যপাল মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়েও নিজের দফতরের গোপনীয় তথ্য ও কথাবার্তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন। নিজের ওএসডির সঙ্গে অফিসিয়াল কথাও ফাঁস করে দিচ্ছেন। যা অত্যন্ত অন্যায়। বিজেপির পতাকার রঙে পোশাক পরে ঘুরে বেড়িয়ে ওই দলের একজন নেতা হিসেবে কাজ করতে চাইছেন। এমন রাজ্যপাল দেখিনি।’ জনসভার পর কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন চন্দ্রিমা। সিরাজবাটির পর আমতা পঞ্চায়েত এলাকাতেও একইভাবে প্রচার চালান মন্ত্রী।