সংবাদদাতা, দিঘা : বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ। ফের দিঘা সহ উপকূলে জারি হলুদ সর্তকতা। দুর্যোগ ও কোটালের জোড়া ফলায় শঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘির ঘাটে ফিরে এসেছে ট্রলারগুলি। পুজোর জন্য বেশীরভাগ ট্রলার ঘাটে নোঙর করা আছে। রওনা হওয়ার মুখে বাধা পেল ট্রলারগুলি। রবিবার সকাল থেকে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগরে নীচু এলাকা ও কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং শুরু হয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে সতর্ক করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধজ্ঞা।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো এখন নারীর ক্ষমতায়নের উৎসব
শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। রবিবার দিনভর আকাশের মুখ ভার, সেই সঙ্গে চলছে দফায় দফায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার থেকে পরপর তিনদিন ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় ফলে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। তাই রবিবার থেকেই দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর ও মান্দারমনিতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য উপকূল এলাকার ব্লক প্রশাসন, পুলিশ এবং মৎস্যদফতরকে সতর্ক করে দিয়েছে জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ। দশমীর পর শনি ও রবিবার পরায় দিঘায় স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের ভিড়। কিন্তু বৃষ্টির জেরে রবিবার দিনভর পর্যটকরা হোটেল বন্দি ছিলেন। কিছু উৎসাহী পর্যটক সমুদ্রসৈকতে গেলেও তৎপর প্রশাসন তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। সৈকতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। সতর্কতা এরিয়ে যাতে কেউ সৈকতে না আসেন সেদিকে রয়েছে নজর। সমুদ্র বাঁধের দুর্বল এলাকাগুলোতেও প্রশাসনের নজরদারি ছিল। আবার কেলেঘাইর ভাঙা বাঁধ মেরামতি হওয়ায় ও পুজোর কটা দিন তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় পটাশপুর ও ভগবানপুরের বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এখনও কিছু স্কুলে ত্রাণ শিবির রয়েছে। কাঁচাবাড়ি জলমগ্ন থাকায় এখনো বহু মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ফের নিম্নচাপের ফলে বানভাসি মানুষ আরো পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘প্রয়োজনে সমুদ্র উপকূলের লাগোয়া নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হবে। আর পটাশপুর ও ভগবানপুরের পরিস্থিতি তেমন হলে পাম্প এর সাহায্যে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’