২২ বছর পর পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উদ্যোগে সেজে উঠেছে শৈলশহর। লাগাতার আন্দোলন আর অশান্তিকে অতীত করে তুলতে পেরেছেন। হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বাড়ছে পর্যটক-সংখ্যা। বন্ধ চা-বাগান খুলেছে। সেই উন্নয়নের খতিয়ান আজকের পাতায়
পর্যটন : মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পাহাড়ে চালু হয়েছে হোম স্টে। যেখানে পর্যটকেরা আগে যেত না, সেখানে গড়ে উঠেছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র, আর সেখানে পর্যটকদের থাকার জন্য হয়েছে হোম স্টে। এর দৌলতে কয়েক হাজার মানুষের অর্থসংস্থান হচ্ছে। সরকারও আর্থিকভাবে সাহায্য করছে।
রাস্তা : শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যেতে মূলত দুটো রাস্তা। একটি রোহিণী, অন্যটি পাংখাবাড়ি। পর্যটনশিল্পের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটেছে। তাতে রাস্তার ভূমিকা অনেকখানি। তাই রোহিণী থেকে পাংখাবাড়ি দুটি রাস্তাই এখন ঝকঝকে। এছাড়াও সেবক হয়ে তিস্তা দিয়ে অপর একটি রাস্তা জোড়বাংলো হয়ে ঘুমের কাছে ওঠে।
স্বাস্থ্য : গুরুতর অসুস্থ জনকে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে নয়, আনতে হত শিলিগুড়ি শহরে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল আমূল বদলে গিয়েছে। ডায়ালিসিস থেকে সিটি স্ক্যান সব হচ্ছে। পুরসভা ও বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও দক্ষ নার্স রয়েছেন।
পানীয় জল : পাহাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা পানীয় জল। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পাইপ লাইনের ব্যবস্থা হয়েছে। পাহাড়ে বিভিন্ন ঝোরা ও ঝরনার জলকে কাজে লাগিয়ে পানীয় জলের সমস্যা মিটেছে।
চা-শিল্প : দার্জিলিঙের চা পৃথিবী বিখ্যাত। বাম আমলে ধুঁকতে-থাকা চা-শিল্প এখন চাঙ্গা। লাভবান হচ্ছেন বাগান-মালিকরা। পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। শ্রমিকদের জন্য হয়েছে চা-সুন্দরী প্রকল্প, থাকার নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
সামাজিক প্রকল্প : পাহাড়ে সর্বত্রই মহিলারা পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, মেয়েরা পাচ্ছে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী। বয়স্করা পাচ্ছেন ভাতা, প্রতিবন্ধীরাও। পড়ুয়ারাও নানা প্রকল্পে উপকৃত। বহু ভূমিহীনকে দেওয়া হয়েছে জমির পাট্টা। সব মিলিয়ে পাহাড়ে ছবিটাই বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের কটাক্ষ, আনন্দরামজি বাপু এবার ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন, নির্বাচন কমিশনকে বেনজির আক্রমণ