প্রতিবেদন : ভোটের যেদিন প্রচার বেআইনি। কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যায় না, সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নির্বাচনবিধি ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন। মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি বলে এলাকায় গেলেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের আশ্বস্ত করলেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন। এখানেই শেষ নয়, বাংলার রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলনের নামে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিলেন এবং নিশ্চিতভাবেই তা বিজেপি-সহ বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন-বেলডাঙায় খুন তৃণমূল কর্মী, নন্দীগ্রামে অপহৃত দলীয় প্রার্থী
বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনও রাজ্যপাল এই ধরনের বেআইনি, অসাংবিধানিক পদক্ষেপ করেননি। এবং নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজার রাখার আবেদন নিয়ে নিজেই নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করলেন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গকারী সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যপাল যে রাজভবনকে পার্টি অফিস তৈরি করে রাজনীতিই করছেন তা তৃণমূল মুখপাত্র শুক্রবার দুপুরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখপাত্র কুণাল ঘোষের স্পষ্ট কথা, মুর্শিদাবাদ সফরকে জাস্টিফাই করার জন্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্যপাল। তিনি না গেলে এই ঘটনা ঘটত না। জগদীপ ধনকড়ের উত্তরসূরী রাজ্যপাল বোস আসলে বিজেপির এজেন্ট এবং তাদের এজেন্ডা পূর্ণ করতে এসেছেন। যেভাবে বিগত একমাস ধরে রাজভবনকে ব্যবহার করে বিজেপির এজেন্ডা পরিপূর্ণ করলেন এরপর আওয়াজ উঠতে বাধ্য, গো ব্যাক আনন্দ বোস।