প্রতিবেদন : গত ১২ বছরে রাজ্য সরকার বাংলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছে, এবং একাধিক সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলে দিয়েছেন বাংলার চালচিত্র ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। তাকে হাতিয়ার করেই বাংলার মানুষের আশীর্বাদ ও দোয়া আশা করে তৃণমূল কংগ্রেস। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক বাংলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও শাসক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস কী কী করেছে—
আরও পড়ুন-এজেন্টরা যা করবেন
১. ৭৯টি জনমুখী সরকারি প্রকল্প— যা গোটা দেশে নেই।
২. পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এর আগে কোনও সরকার এই ধরনের প্রকল্পের কথা ভাবেনি।
৩. বাম আমলে বন্ধ্যা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
৪. সরকারি প্রকল্প ঘোষণাই শুধু নয়, তার বাস্তব প্রয়োগ— বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
৫. বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না তা-ও নিশ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬. রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গায়ের জোরে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবুও কোনও সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়নি।
৭. ১০০ দিনের কাজের সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে সেই টাকা মেটানোর ব্যবস্থা করেছেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের ভাষণ! লঙ্ঘিত নির্বাচনবিধি
৮. বাংলার আবাস যোজনার টাকাও আটকে রেখেছে। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের নামের ত্রুটিহীন তালিকা পাঠানো সত্ত্বেও এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর বারবার আবেদনের পরেও কাজ হয়নি।
৯. দিনের পর দিন বিভিন্ন ছুতনাতায় বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। মোট ১৬১টি দল এসেছে। যদিও হাজারো খুঁজেও তারা কোনও অনিয়ম পায়নি।
১০. বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের অনৈতিক রামধনু জোট। গ্রাম-বাংলার মানুষ দেখছে শুধু ভোটের জন্য কতটা নির্লজ্জ হতে পারে এরা।
১১. বিরোধীরা যখন আদালত আর এজেন্সির ভরসায় বসে, তৃণমূল কংগ্রেস তখন মাঠে-ময়দানে-মানুষের দরজায় তাদের পাশে থেকেছে সারাবছর।
১২. সাম্প্রদায়িক বিজেপি উসকানি দিয়ে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর হাতে তা সামলেছেন।
১৩. প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ক্রমাগত ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব মেরুদণ্ড সোজা রেখে চলেছেন। মাথা নত করেননি।
আরও পড়ুন-বেলডাঙায় খুন তৃণমূল কর্মী, নন্দীগ্রামে অপহৃত দলীয় প্রার্থী
১৪. দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু-মাস ব্যাপী অভিনব নবজোয়ার কর্মসূচিতে গোটা বাংলা চষে ফেলেছেন। সব ক’টি জেলায় মানুষের রেকর্ড ভিড়-জনসুনামি প্রমাণ করেছে বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসকেই চায়। এই কর্মসূচি সাম্প্রতিক-অতীতে বাংলা কেন গোটা দেশের মধ্যে কোনও দল করতে পারেনি।
১৫. মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে অভিনব পদ্ধতিতে মানুষই ভোট দিয়ে বেছে নিয়েছেন তাঁদের প্রার্থীদের। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সেই মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী-তালিকা ঘোষণা করেছেন।
১৬. দুর্নীতিগ্রস্তদের এবার ঠাঁই হয়নি প্রার্থী-তালিকায়।
১৭. নির্দল তথা দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যাঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের ঘোষণামতো বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
১৮. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সবুজসাথী-কন্যাশ্রী-রূপশ্রী-স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো সামাজিক প্রকল্প আমূল বদলে দিয়েছে গ্রাম-বাংলাকে। ভরসা দিয়েছে মহিলাদের।
আরও পড়ুন-
১৯. বাংলার কৃষক-সংখ্যালঘু সমাজের জন্য আলাদা করে ভেবেছে রাজ্য সরকার।
২০. সংখ্যালঘু উন্নয়নে গোটা দেশে এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রের রিপোর্টে তার উল্লেখ।
২১. উত্তরের চা-শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরির প্রকল্প-ক্রেশ-চা শ্রমিকদের সর্বাধিক মজুরি বৃদ্ধি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
২২. বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক বন্ধ চা-বাগান খুলেছে। অসহায় শ্রমিকদের রোজগার দিয়েছে।
২৩. রাজ্যে বিদ্যুতের হাল ফিরেছে। ফলে গ্রাম-বাংলায় সেচের ব্যবস্থা সুলভ হয়েছে।
২৪. কৃষকদের জন্য সরকার শস্যবিমা করে দিয়েছে। এ-রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা নেই।
২৫. পাহাড় এখন শান্ত। পর্যটকদের ভিড়ে সারাবছর সেখানে ঠাঁই নাই-ঠাঁই নাই রব।
২৬. রাজ্যের পর্যটনকে বিশ্বমানচিত্রে পৌঁছে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসেছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
২৭. ২২ বছর পর পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে।
২৮. ধর্মের ভিত্তিতে নয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা ভোট চাইছেন উন্নয়নের নিরিখে।
২৯. ২০২৩-এ সব থেকে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিরোধীরা। দেড় লাখেরও বেশি। যা আগে কখনও হয়নি।
৩০. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার নিয়ে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। জেলাতেই সমস্যার সমাধান করেছেন। টার্গেট বেঁধে দিয়ে কাজে গতি এনেছেন।
আরও পড়ুন-
৩১. জঙ্গলমহলে আলাদা জলপ্রকল্প থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
৩২. ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লুঠেরা-সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকারকে হটাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করা দরকার।
৩৩. মহিলাদের সুরক্ষার দিক থেকে এবং আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে দেশের সেরা বাংলা।
৩৪. দেউচা-পাঁচামির মতো এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কোলব্লক করতে পেরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যেখানে সরাসরি ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়াও পরোক্ষভাবে আরও কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে।
৩৫. শিল্প মানচিত্রে এগিয়ে বাংলা। গত ১২ বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে।
এরপর শুধু কুৎসা ছাড়া আর কিছুই করার নেই বিরোধীদের। গ্রাম-বাংলা তৃণমূলের ছিল-আছে-থাকবে।