সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি-উপজাতি নৃশংসতা ধারায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ড. প্রশান্ত মেসরাম।
শান্তিনিকেতন থানার তরফে ৫ জুলাই ড. মেসরামের অভিযোগ গৃহীত হয়েছে। শান্তিনিকেতন থানা যথাক্রমে এসসি, এসটি নৃশংসতা (প্রিভেনশন অফ এট্রোসিটি অ্যাক্ট) অনুযায়ী মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-বেনজির পরিস্থিতি ত্রিপুরা বিধানসভায়, সাসপেন্ড হলেন ৫ বিরোধী বিধায়ক
ড. মেসরাম উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি রেজিস্ট্রার তন্ময় নাগ, ইন্টারন্যাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এই ধারায় অভিযোগ করে বলেছেন যে তাঁর কর্মজীবন, ভবিষ্যৎ, অর্থনাশের পাশাপাশি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে অসম্মানজনক মন্তব্য করে মানসিক ভাবে একজন তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এসসি, এসটি প্রিভেনশন অফ এট্রোসিটি অ্যাক্ট (পি.ও.এ) ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ধারায় আগেও বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক সুমিত বসু অজামিনযোগ্য ধারায় জেল হেফাজতে ছিলেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশ্বভারতী উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিবকে হাজিরা দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলা ভাগের ছক কষছে ওরা
অভিযোগ ওঠে, প্রশান্ত মেসরামকে লিয়েনে ছুটি দেননি বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর ফলে ওড়িশায় কন্ট্রোলার অফ একজামিনেশন পদে ১৬ জানুয়ারিতে যোগদান করতে পারেননি। তার প্রেক্ষিতে প্রশান্ত মেসরাম জাতীয় তফসিল জাতি কমিশনে বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে প্রশান্ত মেসরামকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে, বিশ্বভারতীর তরফে জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোটা ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেছেন, বিশ্বভারতীতে কখনও জাতিগত বৈষম্যকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। জানা গিয়েছে, ১৯ সালের জুন মাসে বিশ্বভারতী ওয়ান ম্যান কমিটি গঠন করে মেসরামের উপর ক্যাগ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। কমিটি তার রিপোর্টে উল্লেখ করে যে তদানীন্তন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অনেক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এদিন এ ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও জবাব দিতে চায়নি।