প্রতিবেদন : ভোট শেষ হওয়ার পর মজার চিত্রনাট্য তৈরি করলেন তথাকথিত লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা গদ্দার অধিকারী। মায়ের কাছে আবদার করে শিশুরা তা না পেলে যেমন পা দিয়ে জিনিসপত্র ফেলতে থাকে, ক্ষোভ জানাতে থাকে, ঠিক তেমন ছবি ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার সুযোগ করে দিলেন গদ্দার। ভোটের সময় কমিশনের নির্দেশে ক্যামেরা নিয়ে দাদাগিরি করা যায়নি। তাই ভোট শেষ হতেই চলে আসেন নির্বাচন কমিশনে। ফুটেজ খেতে হবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সন্ধ্যার সময়ে কমিশনে তখন জোরকদমে কাজ চলছে। গেটে তালা। গদ্দার ঢুকবেন। ঢুকতে দিতে হবে। কোমরে হাত দিয়ে অপেক্ষায়। কমিশনের লোকজন সেসবে পাত্তা না দিয়ে কাজ করে যাওয়ায়, আরও চটলেন। জনা পাঁচেক চ্যালা আর গোটা চারেক ক্যামেরা নিয়ে যখন দেখলেন কিছুতেই ভবি ভোলার নয়, তখন কাঁথির ৫৩ বছরের শিশির-পুত্র গেটে লাথি মারা শুরু করলেন। গেট ধরে নাড়া দিলেন। দেখার মতো দৃশ্য। মুখ টিপে হাসলেন শিশির বাজোরিয়া। হাসছে মিডিয়ার লোকজন। তবু উদাসীন কমিশনের কর্মীরা। এক শ্রেণির মিডিয়াকে ক্যামেরা ধরে রাখতেই হল। আর তাতে বেজায় খিল্লি হলেন সারদা-নারদায় অভিযুক্ত নেতা। শেষে আঙুল তুলে হুমকি। মিডিয়ার গোটা চারেক ক্যামেরা না থাকলে কী যে হত! এই নাটক তাহলে মানুষ মিস করতেন!
ভোটে হার বুঝতে পেরে বিকেলেই গদ্দারের হুমকি কেন্দ্রের ফান্ড বন্ধ করে দেব। একটা জিনিস গদ্দার অধিকারী প্রমাণ করছেন, বাংলার মানুষের টাকা আটকাচ্ছে গদ্দারই। ইন্ধন গদ্দারের। হিসাব-টিসাবের গল্প আসলে লোক দেখানো। ভোটে হার নিশ্চিত জেনে এখন ১১ তারিখের যুক্তি খুঁজতে গিয়ে দিশেহারা কাঁথির নেতা।