প্রতিবেদন: চলতি মাসের শুরু থেকেই ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া (Russia)। রুশ মিসাইল হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনের। মস্কোর আক্রমণের হাত থেকে আত্মরক্ষা জন্য এবার কিয়েভকে ক্লাস্টার বোমা (cluster munitions) দিতে চলেছে আমেরিকা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। মার্কিন সেনাবাহিনী ক্লাস্টার বোমা প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ক্লাস্টার বোমা (cluster munitions) বাতাসে খুলে যায়। এর ভেতরে থাকে অনেক ছোট বোমা। ওই ছোট বোমাগুলির সবই যে বিস্ফোরিত হয় তা নয়। বরং পরবর্তী ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। আমেরিকা ইউক্রেনকে এই বোমা দেওয়ার অনুমতি দিলেও ন্যাটো দেশগুলি এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, ইউক্রেন ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করলে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপাতে পারে। যদিও জো বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তে খুশি ইউক্রেন। সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, মনে করছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাতে বিশেষ সহায়ক হবে এই ক্লাস্টার বোমা। সম্প্রতি জেলেনস্কি তুরস্ক সফরে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তুরস্ক থেকে তিনি মারিউপোলের ইউক্রেনীয় সেনার পাঁচজন কমান্ডারকে নিয়ে এসেছেন। গত বছর বন্দি বিনিময়ের শর্তে তুরস্কে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিলেন তাঁদের। গত বছর মারিউপোল বন্দর রক্ষা করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ওই কমান্ডাররা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ৫০০ দিন অতিক্রম করল। যুদ্ধের ৫০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে স্নেক আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখান এক ভিডিয়ো বার্তায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বার্তা দেন তিনি। ভিডিয়ো-বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, আমি আমাদের প্রত্যেক সেনা-সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
আরও পড়ুন- রাজপরিবারের নিয়ম ভেঙে বিতর্কে ফেডেরার