প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোর (Durga puja 2023) বাকি নেই আর একশো দিনও। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় মেতে উঠবে রাজ্য। আগমনির সুর ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে বিদেশে। এরইসঙ্গে দুর্গাপুজোর আন্তজার্তিক স্বীকৃতির বর্ষপূর্তি উদযাপনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। গতবছর পুজো কার্নিভ্যালেও ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন। এবারও তার প্রস্তুতি শুরু হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। রথের দিন থেকেই পুজোর (Durga puja 2023) কাউনডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে চেনা ব্যস্ততা। শোলা, ফাইবারের প্রতিমা তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রতিমা শিল্পী কৌশিক ঘোষের স্টুডিওতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। সুইডেন, জার্মানি, আমেরিকা, লন্ডনের বায়না এসে গিয়েছে। চলতি মাসের শেষ থেকেই বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় সপরিবারে রওনা দেবেন মা দুর্গা। শোলা শিল্পী শম্ভু মালাকার ব্যস্ত শোলার কাজে। জরি শিল্পীরাও প্রতিমার অলঙ্কারের কাজ শুরু করেছেন। জামা-কাপড়ের দোকানে পুরনো স্টক শেষের সেল চলছে। এরপরই ঢুকবে পুজোর কালেকশন। বড় রাস্তার মোড়ে শহরের নামকরা পুজোগুলির হোর্ডিং লাগানোর কাজও শুরু হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ পুজোর খুঁটিপুজো হয়ে গিয়েছে। শরতের মেঘ, কাশফুলও দিন গুনছে দুর্গাপুজোর। শুধু কুমোরটুলিই নয়, কৃষ্ণনগরের প্রতিমারও চাহিদা তুঙ্গে। গত দুবছর ধরে কোভিডের জেরে দুর্গোৎসবের ব্যাপকতা ছিল না। মহামারী অতিক্রম করে এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রা তৈরি হয়েছে। ফলে পটুয়াপাড়ার শিল্পীরা খুশি। উত্তরের একাধিক জেলাতেও প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বায়নাও আসছে। এই দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বহু মানুষ। কোভিডকালে তাঁদের রোজগার হয়নি। এবার সেই পরিস্থিতি নেই। তাই সব মিলিয়ে বাঙালির দুর্গোৎসব নতুন স্পন্দনের অপেক্ষায়।