সুমন করাতি, হুগলি: হুগলি জেলায় শান্তিতে মিটেছে পঞ্চায়েত ভোট। জেলায় কিছু বুথে অবশ্য পুনঃনির্বাচন হয়। কিন্তু সেসবের মাঝেই ভোলাবাবাকে তুষ্ট করতে ভক্তের ভিড় জমিয়েছেন মন্দিরে। আষাঢ় মাসের প্রায় শেষে সোমবার শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে (Tarakeswar) সকাল থেকেই অগুনতি ভক্তের ভিড়। শ্রাবণ মাসকে মহাদেবের উপাসনার মাস বলে মনে করা হয়। হিন্দি পঞ্জিকা মতে গুরুপূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে যায় শৈবতীর্থে শ্রাবণ মাস। কয়েকদিন পরে শ্রাবণ। এই মাসে শৈবতীর্থে হবে এক মাসের শ্রাবণী মেলা। হিন্দু বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে শ্রাবণ হল পঞ্চম মাস। শাস্ত্রে এই মাসকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়েছে। এই মাসে শিব ও পার্বতীর পূজা করা হয়। কথিত, এই মাসে শিবকে সহজেই প্রসন্ন করা যায়। কেউ মহাদেবের আশীর্বাদ পেলে তার জীবনে কোনও কিছুর অভাব হয় না। পুরো শ্রাবণ মাস বাবার মাস হলেও গুরুপূর্ণিমা থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে শ্রাবণ মাস। আষাঢ় মাসের শেষে ভক্তসমাগমে ভরে উঠল শৈবতীর্থ তারকেশ্বর। সোমবার সকাল থেকেই বাবার মাথায় জল ঢালার লম্বা লাইন। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ফাঁকা হয়। পঞ্জিকা মতে এ-বছর শ্রাবণ মলমাস। তাই শ্রাবণী মেলায় কেমন ভক্তসমাগম ঘট তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত দোকানদাররা। কিন্তু সোমবার ভাল পুণ্যার্থী সমাগম হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে তারকেশ্বরের (Tarakeswar) মানুষ। ট্রেনে প্রচুর ভিড়। যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রেল পুলিশের তরফে শুরু হয়ে গেছে সচেতনতা।
আরও পড়ুন- কর-সংক্রান্ত মামলার সময়সীমা বাড়ল