প্রতিবেদন : জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফল উন্নয়ন অভিযানের পক্ষে সুস্পষ্ট রায় দিল গ্রাম-বাংলা। মানুষ বুঝিয়ে দিল সামাজিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক প্রগতির প্রশ্নে কোনও আপস নয়। টানা ৫০ ঘণ্টার গণনা শেষ। ২০টির মধ্যে ২০টি জেলা পরিষদেই বিশাল জয় পেল তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির মতোই জেলা পরিষদেও উন্নয়নের পক্ষে স্পষ্ট জনাদেশ। ৮টি জেলা পরিষদে বিরোধীদের একেবারে অস্তিত্বহীন করে দিলেন গ্রাম-বাংলার সচেতন ভোটাররা।
আরও পড়ুন-গণদেবতার জয় : অভিষেক
১৩টি জেলায় একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। উত্তরের ৪ জেলায় এবং দক্ষিণের ৯ জেলায় খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। প্রকৃত অর্থেই অত্যন্ত করুণ দশা। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের ধারাবাহিক উন্নয়ন নিঃসন্দেহে সুদৃঢ় করেছে গ্রামের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের দৌলতে বাংলায় নারীর ক্ষমতায়ণ আজ বিশ্বের বিস্ময়। এর সবকিছুরই প্রতিফলন ঘটেছে এবারের জনাদেশে। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা মনে করছেন মানুষের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।
আরও পড়ুন-নতুন ক্লাবের জার্সিতে সেরাটাই দেব : মেসি
এদিকে এত চক্রান্ত, এত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও তৃণমূলের এই সবুজ ঝড় তীব্র হতাশা জাগিয়েছে বিরোধী শিবিরে। তাই বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত হয়েও সন্ত্রাস থামায়নি তারা। আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি-কাশীনগরে বিজেপির মদতপুষ্ট গুন্ডারা কুপিয়ে খুন করেছে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব হালদারকে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিজেপির আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। খেজুরিতেও এক তৃণমূল কর্মীর উপরে নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-গোটা বিশ্বেই বাড়বে দারিদ্র, স্কুলছুট, লিঙ্গবৈষম্য
রায়গঞ্জে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী রায়চৌধুরী গণনাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন দলের জেলা সভাপতি এবং কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে। বিডিওকে হুমকি দিয়ে মারধর করেন। ভাঙচুরও চালায় গেরুয়া গুন্ডারা। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিডিও। হামলা চালিয়েছে বিএসএফও। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান গুরুতর জখম হন বিএসএফ জওয়ানের লাঠির ঘায়ে। বোঝাই যাচ্ছে বিরোধীদের অবসাদ কতটা গভীরে।