দেশজুড়ে বৃষ্টি বা বন্যা পরিস্থিতি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির আকাল। তবে অবশেষে আসার বার্তা শোনাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। মনে করা হচ্ছে আগামী তিনদিন কলকাতায় স্বাভাবিক বর্ষা চলবে। সক্রিয় বর্ষা বেশ কয়েকদিন না থাকলে, দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলতেই থাকবে। তবে সপ্তাহের শেষে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে জানান আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন-বন্যা বিধ্বস্ত পঞ্জাবে খাবার, ওষুধ বিতরণ করলেন বলি অভিনেতা
এই নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানালেন, ‘আপাতত রাজ্যের উপর একটি মৌসুমী অক্ষরেখা আছে। গয়া, শ্রীনিকেতনের উপর দিয়ে মিজোরামের দিকে চলে গিয়েছে। এবার সেটা দক্ষিণবঙ্গের দিকে আসবে। বঙ্গোসাগরের দিকে আসবে সেই মৌসুমী অক্ষরেখা। তখন হয়ত দেখা যাবে যে শ্রীনিকেতন, দিঘা হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোসাগরের কাছাকাছি চলে আসবে। শনিবার এবং রবিবারের মধ্যে সেটা হবে।’
আরও পড়ুন-অরুণাচল ভারতেরই, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে
তিনি আরও বলেন, ‘রবিবার বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা আছে। সেটি হয়ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেটার কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু সেটার কতটা প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। ওড়িশায় বেশি বৃষ্টি হবে নাকি দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি হবে, সেটা মোটামুটি রবিবার বোঝা যাবে।’
আরও পড়ুন-অরুণাচল ভারতেরই, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে
তিনি এদিন স্পষ্ট করেই বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিনদিনে উত্তরবঙ্গে বর্ষার গতিবিধি কিছুটা কমবে। দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। আবার দক্ষিণঙ্গের চারটি জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর) বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে টানা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে।’
আরও পড়ুন-বাদল অধিবেশনে একাধিক বিল পেশের তোড়জোড়
দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কতটা কমবে এই নিয়ে সাধারণ মানুষের সংশয়ের উত্তরে এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানান, ‘বর্ষাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে থাকি আমরা- দুর্বল বর্ষা, স্বাভাবিক বর্ষা, সক্রিয় বর্ষা এবং অতি সক্রিয় বর্ষা। এখন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দুর্বল আছে। যা বৃষ্টি হওয়ার কথা, তার অর্ধেক বৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিকের তুলনায় ৫০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বৃষ্টি হলে সেটাকে স্বাভাবিক বর্ষা বলা হয়। ১৫০ শতাংশ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বৃষ্টি হলে সক্রিয় বর্ষা বলা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকের থেকে চারগুণ বেশি বৃষ্টি হলে সেটাকে অতি সক্রিয় বর্ষা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।’