প্রতিবেদন: প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় নাজেহাল রাজধানী দিল্লির মানুষ। বহু মানুষের বাড়িঘর ভেসে গিয়েছে। অনেকেই গত দুদিন ধরে অভুক্ত রয়েছেন। যমুনার জলস্তর রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাজধানীর নিচু এলাকায় বসবাসকারীরা। রাজধানীর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে যথারীতি বাক্যুদ্ধে জড়িয়েছে আদমি পার্টি (AAP Government) ও বিজেপি (BJP)। আপের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জল ছাড়ার কারণেই দিল্লির এই পরিস্থিতি। হরিয়ানা সরকার যদি উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও হরিয়ানার জন্য সমানভাবে জল ছাড়ত তবে এই পরিস্থিতি হত না। যদিও আপের ওই অভিযোগ মানতে নারাজ হরিয়ানার বিজেপি সরকার। শনিবার সকালেও দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল জলমগ্ন। গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীতে যান চলাচল থমকে রয়েছে। এমনকী, ট্রেন পরিষেবা ও স্বাভাবিক নয়। শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে (Delhi AAP Government) নতুন করে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে নতুন করে সতর্কতা জারি হয়েছে দিল্লিতে।
আরও পড়ুন- ইরানের হামলা ঠেকাতে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা
বিপর্যস্ত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ড : প্রবল বৃষ্টি, ধস ও হড়পা বানে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মত দুই পার্বত্য রাজ্যের সর্বত্রই ধ্বংসলীলার ছবি। নতুন করে ধস নামায় যমুনোত্রীগামী জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। শনিবার সকালে গাড়ওয়াল জেলার পাউরি তহসিলে চামি গ্রামের কাছে ধস নামে। এরফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই পরিস্থিতি বদ্রীনাথগামী জাতীয় সড়কেও। প্রবল বৃষ্টিতে শুক্রবার হরিদ্বারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একটি ৭ বছরের শিশু। একই পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশেও। তবে দুই রাজ্যেই বেশিরভাগ পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী দুদিন রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ওড়িশাতেও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ভুবনেশ্বর, কটক-সহ বিভিন্ন এলাকা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন ওড়িশাতেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা একটি ষাঁড়কে বাঁচিয়েছে। ভেসে যাওয়া ষাঁড়টির মূল্য এক কোটি টাকা।
অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : এরই মধ্যে ভুটান কড়িছু বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় অসমের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৭ টি জেলায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক নদীর জল বিপদসীমার স্তর অতিক্রম করেছে। ভুটান সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিম অসমের জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।