প্রতিবেদন : অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। ইসরোর এই চন্দ্রাভিযানে বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে আছেন রাঁচির হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার, পদস্থ অফিসার থেকে সাধারণ কর্মীরা। চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণে তাঁদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু গত ১৭ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। মোদি সরকারের কাছে বারবার আর্জি জানানোর পরেও মেলেনি বেতন। এইচইসি (HEC staff- Chandrayaan-3) নামে রাঁচির এই সংস্থাটি কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীন।
তবে মাসের পর মাস বেতন না পেলেও সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা দিন-রাত এক করে কাজ করে গিয়েছেন। রাঁচির ওই সংস্থাই চন্দ্রযান-৩ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। উৎক্ষেপণের লঞ্চিং প্যাডের বিভিন্ন দরকারি জিনিসও তৈরি করেছেন তাঁরা। বেতনের দাবিতে তাঁরা মোদি সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। গত ৩ বছর ধরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। তিন হাজার কর্মী গত ১৭ মাস কোনও পারিশ্রমিক পাননি। সংস্থার জয়েন্ট সেক্রেটারি তথা ইঞ্জিনিয়ার সুভাষচন্দ্র জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ ১৭ মাস বেতন না পেলেও কাজে কোনও ত্রুটি রাখেননি। এইচইসি-র সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মী গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দেশের জন্য কাজ করেছেন। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অংশ হতে পেরে তাঁরা গর্বিত।
আরও পড়ুন- দিল্লির বন্যার জন্য বিজেপিকে দায়ী করল আপ সরকার
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে বকেয়া বেতন চেয়ে ভারী শিল্প মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছিল এইচইসি। আপাতত ১০০০ কোটি টাকা চেয়েছিল সংস্থা। কিন্তু মোদি সরকারের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি। বকেয়া বেতনের দাবিতে ২০২২-এর ৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ধর্মঘট করেছিলেন সংস্থার কর্মীরা। বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও দাবি পূরণ হয়নি।