৪৫ বছর টানা জয় মৃণালকান্তির

Must read

সংবাদদাতা, পটাশপুর : ১৯৭৮ থেকে ২০২৩ সাল। টানা ৪৫ বছর ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী পটাশপুরের মৃণালকান্তি দাস (Mrinalkanti Das)। পটাশপুর-২ ব্লকের ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা একটানা দশবার ভোটে জেতার বিরল নজির গড়লেন। ২০০৬ সালে তিনি প্রধান ছিলেন। সেই সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের হাত থেকে পঞ্চায়েত পরিচালনায় রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০০৭ সালে প্ল্যানিং কমিশন তাঁর পঞ্চায়েতকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেছিল। মৃণালকান্তিবাবু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন। ভোটে জেতা মৃণালকান্তিবাবুর অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। এবারও এগরা মহকুমার মধ্যে তিনি সর্বাধিক ভোটের ব্যবধানে জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছেন। পটাশপুর থানার মতিরামপুর গ্রামে মৃণালকান্তিবাবুর (Mrinalkanti Das) বাড়ি। তাঁর বয়স ৭০ বছর। ১৯৭৮ সালে প্রথমবার পটাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৫ বছর। পঞ্চায়েতে ভোটে জেতার সেই শুরু। তারপর ১৯৮৩ সালে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ১৯৮৮ সালে ভোটে জেতার পর পঞ্চায়েত প্রধান হন। তারপর ’৯২ সালে ফের ভোটে জয়ী হন এবং প্রধান হন। ১৯৯৮ সালে আবারও ভোটে জয়লাভ করেন। প্রধান আসন সংরক্ষণের আওতায় থাকায় উপপ্রধান হন। ২০০৩ সালে আবারও নির্বাচিত হন। এবং প্রধান হন। এই টার্মে পঞ্চায়েত পরিচালনায় দক্ষতার কারণে তিনি পরপর দু’টি পুরস্কার পান। ২০০৮ সালে আবারও গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হন। সেইসঙ্গে প্রধান আসনে বসেন। পঞ্চায়েত পরিচালনার দক্ষতার জন্য ২০১৩ সালে মৃণালকান্তিবাবুকে জেলা পরিষদে টিকিট দেওয়া হয়। সেই ভোটে অনায়াসে জয়ী হন। এরপরই তাঁকে জেলা পরিষদে বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ করা হয়। ২০১৮ সালেও জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হন। আবারও বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হন। তাঁর আমলে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফেরিঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদে নিজস্ব তহবিল বাড়ানোর নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে তাঁকে পটাশপুর-২ ব্লকে ৪০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী করা হয়। ১০ হাজার ৪৮০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মৃণালকান্তিবাবু। ১৯৭৮ সাল থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। এই মুহূর্তে তিনি পার্টির জেলা সহসভাপতি। ২০০১ সালে সিপিএমের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সময়কালে পটাশপুর বিধানসভার প্রার্থী হন মৃণালকান্তিবাবু। ৫৬টি বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি। স্বল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। পটাশপুর-২ ব্লকে সংগঠনকে শক্তপোক্ত রাখার পেছনে ওই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার অবদান অনেক। এবার পটাশপুর-২ ব্লকে সাত গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সবক’টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গোটা জেলায় ২৫টি ব্লকের মধ্যে একমাত্র পটাশপুর-২ ব্লকে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- দিল্লির বন্যার জন্য বিজেপিকে দায়ী করল আপ সরকার

Latest article