প্রতিবেদন : এ লজ্জা রাখবেন কোথায়? একজন কথায় কথায় চ্যানেলে-চ্যানেলে শাসক দলকে গালাগালি দিতে সিদ্ধহস্ত। আর একজন নাকি আগামী প্রজন্মের নেত্রী! জনতা-জনার্দনের কী পরিহাস! দু’জনকেই নিজেদের এলাকার বুথে গোহারা হারিয়ে মুচকি হাসছেন তাঁরা।
সিপিএমের এই দুই সম্পদের নাম সুজন চক্রবর্তী এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সোনারপুর এলাকা সুজনের। সেখানকার কালিকাপুরের দুটি বুথেই হার সিপিএমের। আরও নির্দিষ্টভাবে ১৫ নম্বর পার্ট যেটা সুজনের বাড়ির এলাকা, সেখানে তৃণমূলের কৃষ্ণা সর্দার সিপিএমের নন্দরানিকে গোহারা হারিয়েছেন। আবার ১৬ নম্বর পার্টেও জয়ী তৃণমূল। টুম্পাসোনা প্রজন্মের নেত্রী মীনাক্ষী।
আরও পড়ুন-৪৫ বছর টানা জয় মৃণালকান্তির
সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের নেকনজরে থাকা নেত্রীটির বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানে। সালানপুর এলাকা তাঁরই বাড়ির এলাকার মধ্যে পড়ে। সেখানকার ব্লকের দুটি আসনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী বাম আর বিজেপিকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছেন। তৃণমূলের মহম্মদ আরমান জিতেছেন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে। এলাকার মানুষ বলছেন, মীনাক্ষী যে ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করেন তা মোটেই পছন্দ নয় বহু মানুষের। তার ছবিই স্পষ্ট হয়েছে ভোটের ফলে।
আরও পড়ুন-কাশ্মীর-লাদাখ বাদ! দেশের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করল বিজেপি
এই ফলাফল দেখে সিপিএমকে একহাত নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সুজন চক্রবর্তী নাকি দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতা। তো সেই নেতা যদি নিজের বুথই সামলাতে না পারেন তাহলে রাজ্য কমিটিতে গিয়ে মানুষের কোন উপকারটি করবেন? এই ফলাফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সিপিএমের ৩৪ বছরে অত্যাচারে মানুষ এতটাই বীতশ্রদ্ধ যে তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষের আশীর্বাদেই বামেরা শূন্য থেকে মহাশূন্যে চলে যাচ্ছে।