প্রতিবেদন : গণতন্ত্র রক্ষা করতে একজোট (opposition alliance 2024) হয়ে লড়াইয়ের ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জোরালো সমর্থন করলেন সোনিয়া গান্ধী-সহ জোটের বাকি নেতারা। মঙ্গলবার মূল বিরোধী জোটের বৈঠকের ১৬ ঘণ্টা আগে ঘরোয়াভাবে মিলিত হলেন ২৬টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। তবে তৃণমূল নেত্রীই ছিলেন মধ্যমণি। পাটনার মতো বেঙ্গালুরুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে জোট-বৈঠক। এই ঘরোয়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজেপি সরকারের জনবিরোধী ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একযোগে সোচ্চার হবে বিরোধীরা। কীভাবে, কোন পথে তা করা হবে তার জন্য তৈরি হবে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি। এদিন প্রত্যেকটি দলই প্রাথমিকভাবে তাদের ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচির খসড়া তুলে ধরেছে। আজ, মঙ্গলবারের বৈঠকে সেই খসড়া একসঙ্গে করে কীভাবে তা যৌথ কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। বিজেপিকে সাফ করতে বিরোধী দলগুলির শক্তি অনুযায়ী ‘একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ের ফর্মুলা’ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বলে আসছেন। এদিন এই ফর্মুলা নিয়েও প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। বিস্তারিত আলোচনা হবে আজ। চলতি বছরেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম— ভোটমুখী এই পাঁচ রাজ্যের জন্য আলাদা নির্বাচনী কৌশল তৈরির কথাও উঠে এসেছে সোমবারের ঘরোয়া আলোচনায়। ঠিক হয়েছে আজ, মঙ্গলবার মূল বৈঠকে ২৬টি বিরোধী দল মিলে এই জোটের একটি জুতসই নাম ঠিক করা হবে। সোমবার বেঙ্গালুরু পৌঁছনোর পর সন্ধে ৬টায় বিরোধীদের ঘরোয়া আলোচনা শুরু হয়। নৈশভোজের আবহে এই আলোচনা মঙ্গলবারের মূল বৈঠকের সময় সূত্রধরের কাজ করবে। গত ২৩ জুন পাটনায় বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকে বিজেপি-বিরোধিতার ক্ষেত্রে সবকিছুকে পাশে সরিয়ে রেখে একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার ছিল। সোমবারের ঘরোয়া বৈঠকের আলোচনা ও জমজমাট ছবি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে পাটনার অঙ্গীকার বেঙ্গালুরুতে শপথে পরিণত হতে চলেছে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আপ নেতৃত্বও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। সোমবার ঘরোয়া বৈঠক ও নৈশভোজ শেষে এদিনের আলোচনা নিয়ে কেউই খুব একটা মুখ খোলেননি। নিশ্চিতভাবে আজ মঙ্গলবার মেগা বৈঠকের (opposition alliance 2024) পর পাটনার মতোই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জোটের অভিমুখের কথা বলবেন। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এজেন্সি রাজনীতি, রাজ্যপালের ভূমিকা, কেন্দ্রের বঞ্চনা-সহ একগুচ্ছ সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হবে বিরোধী জোট। এদিন লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির বাধ্যবাধকতা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়কে মাথায় রেখে আসন বণ্টন ও সমঝোতা নিয়েও প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। এই ঘরোয়া আলোচনার নির্যাসেই আজ মেগা বৈঠকে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে।
আরও পড়ুন- আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল, অসমের সীমা পুনর্বিন্যাস