আজ মঙ্গলবার, প্রচারে বেরিয়ে আবার নতুন করে বিক্ষোভের মুখে দিনহাটা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। এদিন সকালে নয়ারহাটে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী সহ দলের বেশ কিছু সমর্থক। ঠিক সেই সময় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুন-শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণে দ্বিতীয় বাংলা
বিক্ষোভকারীরা বিজেপি প্রার্থীকে দেখে “গো-ব্যাক” স্লোগান দেয়। তাঁদের দেখে “জয় বাংলা” স্লোগান তোলা হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মিহির গোস্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় নয়ারহাট এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে তারপরে।
এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে বিজেপি। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, দিনহাটায় কেউ আর বিজেপি করে না। বিজেপির থেকে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, মুখ ফিরিয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাই। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এভাবে তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস আরও দাবি করে, বিধানসভায় জেতার পর দিনহাটার মানুষকে ঠকিয়ে পালিয়েছে নিশীথ প্রামাণিক। শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত নিশীথ। তাই তাঁকে যাঁরা ভোট দিয়ে জিতিয়েছিল তাঁদের পাশে না থেকে কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ার লোভে বিধায়ক পদ ছেড়েছে। তাই দিনহাটায় ফের অকাল নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনের জন্য দায়ী বিজেপি। তাই সাধারণ মানুষ বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
কিন্তু বিজেপি প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে সকলের প্রশ্ন, “নিশীথ প্রামানিক কোথাও?”
এদিকে বিজেপির প্রচারকদের তালিকায় নাম আছে সাংসদ তথা কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের নাম। গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা, নিশীথকে প্রচারে নামালে মানুষের বিক্ষোভ আরও বাড়তে পারে।