ব্রিজটাউন, ২৭ জুলাই : বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই (India-West Indies)। হারারেতে বাছাই পর্বের টুর্নামেন্টে শোচনীয় ক্রিকেট খেলে ফিরেছে। তবু সুযোগ ছিল একদিনের সিরিজে হৃত সম্মান পুনরুদ্ধারের। কিন্তু সেখানেও এই দল ডাহা ফেল! কেনসিংটন ওভালে প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারত তাদের হারাল পাঁচ উইকেটে।
স্কোরবোর্ড দেখে মনে হতে পারে ক্যারিবিয়ানরা ১১৪ রানে গুটিয়ে গিয়েও ভারতের পাঁচ উইকেট ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন হয়নি। সূর্য, হার্দিকদের মতো যাঁরা অনেকদিন ম্যাচ খেলেনি, তাঁদের আগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অল্প রান দেখে প্রদর্শনী ক্রিকেটের ঢঙে এঁরা পরপর এলেন, চলেও গেলেন। শেষপর্যন্ত রোহিতকে (১২ নট আউট) নামতে হল। তিনি জাদেজাকে (১৬ নট আউট) নিয়ে ২৭.১ ওভার বাকি রেখে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন।
এর আগে অতি অ্যাডভেঞ্চারের শিকার হয়ে ঈশান কিসান যখন ৪৬ বলে ৫২ করে বাঁহাতি স্পিনার মতিকে উইকেট দিয়ে গেলেন, ভারত ৯৪/৪ (India-West Indies)। দেখে মনে হতে পারে টপ অর্ডার তাহলে খালি হয়ে গিয়েছে! আসলে ভুল। বিশ্বকাপ মাথায় রেখে রোহিত-বিরাট না এসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সূর্য (১৯), হার্দিক (৫), শার্দূল ঠাকুরকে (১)। তার আগে ঈশানের সঙ্গে ইনিংস শুরু করে টেস্ট সিরিজের মতো বড় রানের দেখা পাননি শুভমন গিল (৭)। ৯৭/৫ হয়ে যাওয়ার পর রোহিত নামলেন। খেলাও একটু পরে শেষ হয়ে গেল।
কুলদীপ যাদবকে নিয়ে যাঁরা নিয়মিত চিৎকার করেন, তাঁদের একজন অনিল কুম্বলে। বাঁহাতি চায়নাম্যান বোলারকে তিনি টেস্ট দলে দেখতে চান। যথারীতি কেউ শোনেনি। কিন্তু কুলদীপ এমন একজন, যিনি সুযোগ পেলেই জ্বলে ওঠেন। যেমন বার্বাডোজে বৃহস্পতিবার। স্রেফ তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি ৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গেলেন। বোলিং গড় ৩-২-৬-৪।
আরও পড়ুন- শিগগিরই দিঘায় চালু হবে মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা ১১ কোটির, আন্তর্জাতিক মানের মৎস্য নিলামকেন্দ্র
৭ রানে কাইল মেয়ার্সকে (২) হারিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা মন্দ করেনি। আথাঞ্জে (২২) আর সাই হোপ (৪৩) মিলে ৮৮/৩ করে ফেলেছিলেন একটা সময়। কিন্তু এই ক্যারিবিয়ান দলে অভিজ্ঞতার অভাব। ফলে হার্দিক, মুকেশ আর শার্দূল ধাক্কা দিতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ক্যারিবিয়ান ইনিংস। তাদের ড্রেসিংরুমে এমন কেউ ছিল না যে বলবে, পঞ্চাশ ওভার কাটাতে হবে ভাই।
যে দল একটা সময় ১৫.৩ ওভারে ৮৮/৩ ছিল, তারাই ২৩ ওভারে অল আউট হয়ে গেল ১১৪ রানে। ব্রেন্ডন কিং (২২), শিমরন হেটমেয়ার (১১), রভম্যান পাওয়েল (৪), উপরের দিকের ব্যাটাররাও এদিন রান পাননি। চারজনের বেশি কেউ দুই অঙ্কেও যেতে পারেননি। অথচ ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালের উইকেটে কোনও জুজু ছিল না।
অদ্ভুতভাবে এই উইকেট কোনও পক্ষ নেয়নি। সিমাররা উইকেট নিয়েছেন। স্পিনাররাও। আথাঞ্জের উইকেট নিয়ে টেস্টের পর একদিনের ক্রিকেটেও খাতা খুললেন মুকেশ কুমার। তবে শেষমেশ দাপট অবশ্য দেখিয়েছেন স্পিনাররাই। ম্যাচের সেরা কুলদীপ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারদের উপর রহস্যের জাল বিস্তার করেছেন, তখন ৩ উইকেট নিয়ে সহযোগিতা করে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজাও।