প্রতিবেদন : দেশ কি গদ্দারো কো, গোলি মারো শালোকোঁ। একথা বলা কুখ্যাত অনুরাগ ঠাকুরের কাছ থেকে আইন-শৃঙ্খলার পাঠ নেবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওরা আগে নিজের চরকায় তেল দিক। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুর জ্বলছে। মৃতদেহের সারি গোটা রাজ্য জুড়ে। মেয়েদের গণধর্ষণ করা হচ্ছে। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার ব্যর্থ মণিপুর সামলাতে। ওদের লজ্জা হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর কথায় বাংলার মাথার উপরে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তিনি বাংলাকে সুরক্ষিত রেখেছেন। এটা উত্তরপ্রদেশ বা মধ্যপ্রদেশ নয়। এখানে মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে বসবাস করেন। তাই অনুরাগ ঠাকুর যে রাজনীতি করতে এখানে এসেছেন তাতে সফল হবেন না। আসলে বিজেপি ভারসাম্যের খেলা খেলছে। যেদিন ইন্ডিয়া’র টিম মণিপুরে গেলেন, সেদিনই কুখ্যাত অনুরাগ ঠাকুরকে বাংলায় পাঠানো হল। তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলায় দেশের সেরা বাংলা। সেখানে বিজেপি বাংলার বিরুদ্ধে বদনাম ও কুৎসা করার জন্য এধরনের লোককে পাঠাচ্ছে। এদের কথা কোনও গুরুত্ব নেই।
আরও পড়ুন-৬ যাত্রীর মৃত্যু দুই বাসের সংঘর্ষে
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ইন্ডিয়ার জোট তৈরির পর বিজেপির প্যানিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে। তাই বিজেপি নেতারা ভুল বকছে। শোনা যাচ্ছে এনডিএ-র নাম বদল করবে। কুণালের কথায়, অনুরাগকে বলব ও গদ্দারের ভিডিওটা আগে দেখুক। যেখানে বলছে ৩৫৫-র পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আসলে বিজেপি নাটক করছে। হিংসা করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে বেশি তৃণমূলকর্মী মারা গিয়েছে। কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি ও আইএসএফ একসঙ্গে কাজ করছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কী পরিমাণ সন্ত্রাস হয় ভোটের সময়। ত্রিপুরাতেও হয়েছে। ৯০ শতাংশ আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। লাগামহীন সন্ত্রাস করেছে। কিন্তু বাংলায় গোহারা হেরেছে তৃণমূলের কাছে।