প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এবার ধীরে ধীরে হাঁটতে হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নানা প্রকল্প থেকে শুরু করে উন্নয়নের হাতিয়ারগুলি বিজেপি শাসনাধীন রাজ্যগুলিও নকল করতে শুরু করেছে। গোটা দেশ তা দেখেছে। এবার নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের সংরক্ষণের প্রশ্নেও তৃণমূল নেত্রীর দেখানো পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস। মঙ্গলবার উত্তপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৪০% আসন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অথচ দু’বছর আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ৪০ শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষণ করে ফেলেছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানতেই পারলেন না!
আরও পড়ুন : কানসাস সিটিতে দুর্গোৎসব
তথ্য বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস দেশের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক দল, যারা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪১ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। ভোটের ফলাফল বেরনোর পর তৃণমূলনেত্রী মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলার মানুষকে বলেছিলেন, ৯ জন মহিলা সাংসদকে জিতিয়ে আনার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে ৫০% সংরক্ষণ তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট। আর এটা যে শুধু কথার কথা নয়, তা পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ৫০ শতাংশের বেশি মহিলা প্রার্থী দিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রমাণ দিয়ে চলেছে। যাঁরা আজ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মহিলাদের অগ্রগতি কিংবা তাঁদের সামনে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, সংরক্ষণের কথা বুক বাজিয়ে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেগুলিকে প্রতিশ্রুতির আকারে না রেখে বাস্তবায়িত করেছেন। গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছেন। কোনও নেতা-নেত্রীর তা জানতে না পারাটা রাজনৈতিক অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তথ্য বলছে এই মুহূর্তে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের মধ্যে মহিলা সাংসদের সংখ্যা ৪১%। আর রাজ্যসভাতেও দলের সাংসদদের মধ্যে মহিলা সাংসদের সংখ্যা প্রায় ৪০%। যা বাংলা কেন, গোটা দেশে বিরল। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি থাকতে পারে ওড়িশা, যারা এক তৃতীয়াংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল।
আরও পড়ুন : কানসাস সিটিতে দুর্গোৎসব
তৃণমূলনেত্রী বরাবরই নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। এবং যা বলেছেন, তা বাস্তবায়িত করেছেন। দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল বলছে, বাংলার সরকার দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে পথপ্রদর্শক। ‘মমতা মডেল’কেই অনুসরণ করছে বাকি রাজ্যগুলি। মমতা মডেল যে দেশের মধ্যে সেরা, তা কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পে বাংলার শীর্ষস্থান পাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করছে। বাংলার উন্নয়নের ছবি তাই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ‘চুরি’ করতে হচ্ছে। গোপালকৃষ্ণ গোখেলের কথাটাই দিল্লির রাজনৈতিক মহল থেকে শোনা যাচ্ছে,— হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো।