প্রতিবেদন : ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে করের বোঝা থেকে মুক্ত করতে বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। হস্তশিল্পী এবং তাঁতশিল্পীদের জিএসটি ছাড় দিতে আইনের সংশোধনী পাশ হল রাজ্য বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার সংশোধনীটি বিধানসভায় পেশ করে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এতদিন পর্যন্ত এই সব শিল্প তথা শিল্পীদের বাৎসরিক ব্যবসার পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে তারা কর ছাড় পেতেন।
আরও পড়ুন-৬-৭ মাস ভোটের বাকি, বিজেপি শুরু করেছে দাঙ্গা
এবার সেই ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে কর ফাঁকি রুখতেও কঠোর হচ্ছে রাজ্য। জিএসটি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করতে কলকাতায় তৈরি হচ্ছে আলাদা বেঞ্চ। অর্থমন্ত্রী জানান, শিক্ষা স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রয়েছে এমন সমস্ত ক্ষেত্রে জিএসটির হার কম রাখতে সব সময় যত্নবান পশ্চিমবঙ্গ। কারণ মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বারবার এই নিয়ে সরব হয়ে পড়াশোনার সরঞ্জাম থেকে অনেক কিছুর ওপরে করের হার কমাতে পেরেছেন তাঁরা। অর্থমন্ত্রী জানান, মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তিতেই অনলাইন গেম, লটারি, ঘোড়দৌড়ের মতো খেলায় জিএসটির হার বাড়িয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-নবান্ন থেকে দ্বারকা নদীর উপর নবনির্মিত সেতু উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কারণ অনলাইন গেমে তরুণ প্রজন্মের আসক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। অনলাইনে গেমিং-এ ২৮ শতাংশের মতো সর্বোচ্চ হারে জিএসটি চাপালে এই নতুন শিল্প পথে বসবে বলে সওয়াল করছিল সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা এবং গোয়া, সিকিমের মতো রাজ্যগুলি। যুক্তি দেওয়া হচ্ছিল, এর সবটাই জুয়া বা ফাটকাবাজি নয়। এর মধ্যে দক্ষতাও জড়িয়ে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ একাধিক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এসব ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ হারেই জিএসটি চাপানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই দাবি মেনে অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ে ২৮ শতাংশ হারে কর চাপানোর বিষয়ে জুলাই মাসে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিএসটি পরিষদ।