প্রতিবেদন : পুজোর বাকি ৬৭ দিন। হাতে আর বেশি সময় নেই। দিনরাত এক করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কুমোরটুলির শিল্পীরা। ফাইবার, প্লাস্টিক, শোলার প্রতিমা চলতি মাসের শেষেই পাড়ি দেবেন বিদেশের পথে। কলকাতা ও আশপাশের বড় পুজোগুলির বায়না হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। প্যান্ডেলের জন্য মাঠে পড়েছে বাঁশ। এরই মধ্যে বাদ সেধেছে আবহাওয়া।
আরও পড়ুন-রণক্ষেত্র বেহালা, লরির ধাক্কায় মৃত্যু ৫ বছরের শিশু ও তার বাবার
শ্রাবণের আকাশে যেন শরতের মেঘ! শুধু বর্ষার বৃষ্টি নয়, ঘন ঘন তৈরি হওয়া নিম্নচাপও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে শিল্পীদের কাজে। কুমোরটুলি ঢুকতেই শিল্পী বিমল পালের স্টুডিও। সারি দিয়ে রাখা প্রতিমা। বিমল পাল বলেন, বৈশাখ মাস থেকে প্রতিমা গড়া শুরু হয়েছে। দুর্গা শুকিয়ে গেলেও লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ভিজে। রোদের মুখ দেখলেই শুকোতে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বাকি প্রতিমার কাজ চলছে প্লাস্টিক বেঁধে। কলকাতা ছাড়াও নাগপুর, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশে বিমল পালের প্রতিমা যায়। এবারও বায়না এসেছে ভিন রাজ্য থেকে।
আরও পড়ুন-বুটজোড়া তুলেই রাখলেন মনোজ
১৫ অগাস্টের পর কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু জায়গা থেকে বায়না আসবে। কিন্তু আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় কীভাবে কাজ সম্পন্ন হবে তা নিয়ে বেশ চিন্তায় তিনি। শুধু প্রতিমা শিল্পীরাই নন, জরি শিল্পীরাও এই আবহাওয়ার কারণে চিন্তায়। জরি শিল্পী প্রসূন দে বললেন, কাজের ঘরের আয়তন খুবই ছোট। বাইরে বেঞ্চে বসে আমাদের অনেক শিল্পীই কাজ করেন। প্রতিমার গহনার ডিজাইন আঁকা, প্রাথমিক কাজগুলি স্টুডিওর বাইরে খোলা আকাশের নিচেই হয়। এরপর আঠা বা সুতো দিয়ে জোড়ার কাজ স্টুডিওর ভিতরে।
আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড বেজিং, ১৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে বন্যা
কিন্তু বৃষ্টির কারণে ছোট জায়গার মধ্যেই সব কাজ করতে হচ্ছে, ফলে সমস্যা হচ্ছে। শোলাশিল্পী শম্ভু মালাকারও বলছেন একই কথা। বাংলাদেশ থেকে আসা কাঁচা শোলা রোদে শুকিয়ে তারপর কারুকাজ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন কাজ থমকে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রোদ ওঠায় খানিকটা চিন্তামুক্ত হয়েছেন তাঁরা। ছবি : শুভেন্দু চৌধুরি