প্রতিবেদন : জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ঢোকার মুখে কাঠের সেতুটি আগে ভেঙে পড়ায় বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত চলছিল, কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে বুধবার সেই সাঁকোটিও ভেঙে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন পর্যটকরা। পাশাপাশি ভুটান পাহাড়ে লাগাতর বৃষ্টি ও ডুয়ার্স এলাকায় অনবরত বৃষ্টির ফলে হলং নদীতে জলস্তর বেড়েছে। অভয়ারণ্যের বিভিন্ন এলাকাতেও জল জমেছে। ফলে জঙ্গল সাফারি বন্ধ রেখেছে বন দফতর। সাফারি বন্ধ রাখায় বহু পর্যটক এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
আরও পড়ুন : বাপ্পি দা’র বাড়ির লক্ষ্মী
এদিকে দু দিনের টানা বৃষ্টিতে কুয়ে নদীর জল বেড়ে বন্ধ হয়ে যায় সিউড়ি কাটোয়া রাজ্য সড়ক। বীরভূমের লাভপুরের লাঘাটা সেতুর ওপর দিয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল যাওয়ার কারণে লাভপুর ব্লক প্রশাসন যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিল। এর ফলে লাভপুরের সঙ্গে বোলপুর, নানুর, কাটোয়া, ফুঁটিসাকোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। জল বাড়ায় লাভপুরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। বুধবার কোটালের জলোচ্ছ্বাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোড়ামারা দ্বীপের খাসিমারা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। হুগলি নদীর বাঁধ ভেঙে জল স্কুলের কাছে চলে এসেছিল। বিকেলে জোয়ারের সময় ৭৫ বছরের পুরনো স্কুলটি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। করোনা অতিমারির জন্য দেড় বছরের বেশি সময় স্কুলটি বন্ধ ছিল।