প্রতিবেদন : বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলেও ধর্মীয় পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে। এক্ষেত্রে বেছে বেছে সংখ্যালঘু মানুষজনকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই হিংসাকবলিত এলাকা নুহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ‘বেআইনি ঝুপড়ি’ উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। সেই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বুলডোজার (Bulldozer action- Haryana)। নুহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন ২৫০টির বেশি ঝুপড়ি ভেঙে দিয়েছে। গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ, যাঁদের অধিকাংশই মুসলমান। জেলা পুলিশের পাল্টা দাবি, এসব ঝুপড়ি অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। বসবাসকারীরা অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে চলে আসা মানুষ। নুহ ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা অবৈধভাবে বসবাস করছেন। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে তাঁরাই ধর্মীয় শোভাযাত্রাকারীদের ওপর ইটবৃষ্টি করেছিলেন। হরিয়ানার নুহ ও পার্শ্ববর্তী জেলা গুরুগ্রামে ছড়িয়ে পড়া হিংসাত্মক ঘটনায় মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার গুরুগ্রামের বিভিন্ন মসজিদে জুম্মার নমাজ পড়া হয়নি। এলাকার মুসলমান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, মসজিদ বা কোনও উন্মুক্ত প্রান্তরে নমাজ না পড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যেন বাড়িতেই নমাজ পড়েন।
হরিয়ানার (Bulldozer action- Haryana) নুহ ও তাউরুতে যেসব অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়, পুলিশের দাবি সেগুলি তিন বছর ধরে গড়ে উঠেছিল। প্রশ্ন উঠছে, এত বছর প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেনই বা সংঘর্ষের পর তাঁরা সক্রিয়? এবং কেনই বা শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা? গেরুয়া শিবিরের যে পান্ডারা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়াল, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি? গোরক্ষার নামে দুই সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের দায়ে রাজস্থান পুলিশের কাছে ‘ফেরার’ মনু মানেসরকেও হরিয়ানা পুলিশ গ্রেফতার করেনি। অথচ ওই ব্যক্তির ভিডিওই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ও হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- নিখরচায় আইটিআই প্রশিক্ষণ রাজ্য সরকারের, প্রশিক্ষণরতদের দেওয়া হবে ভাতাও