প্রতিবেদন: অপব্যয় রুখতে বিল এনেছেন বিরোধী সাংসদ। আর সেই প্রস্তাব কর্যকর হলে বিয়েবাড়ির খরচে এবার পড়তে পারে কোপ। বিয়েবাড়ি মানেই সাজগোজ, দেদারে খাওয়াদাওয়া, হই-হুল্লোড়ের পাশাপাশি অনেক অতিথিদের সমাগম হয়। সব মিলিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যে কোনও মানুষেরই আলাদা উন্মাদনা সবসময় থাকে। কিন্তু সেই উদযাপন আর কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে তা নিয়ে এবার বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে অনর্থক অর্থের অপচয় রুখতে সোমবার কংগ্রেস সাংসদের প্রাইভেট মেম্বার’স বিল পেশ হল লোকসভায়। বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিতে অর্থের অপচয় বন্ধ করার উদ্দেশে সোমবার কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ যশবীর সিং গিল লোকসভায় বিলটি আনেন।
আরও পড়ুন-চন্দ্রদর্শনের ছবি পাঠাল চন্দ্রযান-৩
সাংসদ যশবীর জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানবাড়ির খরচ সবার জন্য এক হওয়ার কথা বলা হয়েছে এই বিলে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বিলটিতে বরযাত্রীর সংখ্যা ৫০ জনের মধ্যে রাখা এবং খাবারের মেনুতে পদের সংখ্যা ১০-এর মধ্যেই রাখার কথা বলা হয়েছে। লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘বিশেষ উপলক্ষে অপব্যয় ব্যয় প্রতিরোধ’ নামক প্রস্তাবিত বিলটি সমাজের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জীবনে সদর্থক পরিবর্তন আনবে। অন্যদিকে বিল পাশ হলেই কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো অপরাধও দেশে বন্ধ হবে। বিলে আরও জানানো হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্রপক্ষকে ২৫০০ টাকার বেশি নগদ কিংবা উপহার দেওয়া যাবে না। এছাড়াও নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ১০০ জনের বেশি অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আরও জানিয়েছেন, এই বিলের আসল উদ্দেশ্য হল বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিতে অর্থের অপচয় বন্ধ করা। অর্থ থাকলেই অনেকে তার প্রদর্শন করেন বিয়েতে। আর সেটা রুখে দেওয়ার জন্যই এই বিল পেশ করা হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস সাংসদের। এই বিলটি পাশ হয়ে গেলে কন্যাসন্তানকে আর সমাজের বোঝা বলে মনে হবে না। পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ে সংক্রান্ত একাধিক জোরজুলুমও অবিলম্বে বন্ধ হবে বলেই মত তাঁর।