প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুমে বাজি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। একই সমস্ত বাজি কারখানায় যাতে নিয়ম মেনে সুরক্ষিত ভাবে বাজি তৈরি হয় সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নে বাজি উৎপাদন নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম, কুটির শিল্প সচিব ছাড়াও রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ-ছাড়া বাজি উৎপাদক ছয় জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন-কোর্ট থামিয়ে দিল বিজেপির বুলডোজার
বাজি উৎপাদক ও বিক্রেতা সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উৎসবের মরশুমে প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ ফাঁকা জায়গা চিহ্নিত করে বাজি ব্যবসায়ীদের সেখানে ব্যবসা করার অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হবে। তাঁরা নিয়ম মেনে সুরক্ষিত ভাবে বাজি তৈরি এবং বিক্রি করছেন কিনা তার দিকেও নজর রাখা হবে। এজন্য বাজি উৎপাদক জেলাগুলিতে শ্রম দফতর একজন করে সেফটি অফিসার নিযুক্ত করবেন। তাঁরা ইউনিটগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দিলে তবেই ব্যবসা করার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম, দমকল ও পুলিশের কর্তাদের নিয়ে নিয়মিত বাজি কারখানা পরিদর্শন করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিল্লি বিল পাশ হলেও রাজ্যসভায় আপত্তির যুক্তি তুলে ধরল ইন্ডিয়া
রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব আতশবাজির উৎপাদনের ক্লাস্টার তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কাজে গতি আনতেও মুখ্যসচিব এদিন নির্দেশ দেন। নিরির সঙ্গে যৌথভাবে আতশবাজি নির্মাতাদের প্রশিক্ষণের কর্মসূচি চলছে। জেলাশাসকদের ওই কর্মসূচি আয়োজনের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরির উপযুক্ত জায়গা দ্রুত চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কর্মতীর্থের ফাঁকা জমিতেও এ-ধরনের ক্লাস্টার তৈরি করা যেতে পারে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন।