কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করেছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Muhammad Salim)। তিনি বলেন ‘নিউ ইয়র্ক থেকে সেলফি পাঠিয়েছেন একাধিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সাংসদ কাম মাফিয়া ডন’!
আরও পড়ুন-স্বাদহীন ইলিশ, কারণ জানালেন মৎসমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। কিন্তু সেই বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম অভিষেককে কটাক্ষ করে টুইট করেছিলেন। সেই টুইটে তিনি যে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন সেই নিয়ে এবার শুধু রাজনৈতিক স্তরে নয়, সিপিএমের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়। তিনি লিখেছিলেন, ‘এমপি কাম মাফিয়া ডন কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে সেলফি তুলে পাঠিয়েছেন। বিজেপির বসেরা তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। তিনি ১৫জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন তার অবৈধ সম্পদ জমা রাখার জন্য।’
আরও পড়ুন-ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৮১তম বর্ষপূর্তিতে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দলনেত্রীর
উল্লেখ্য, সোমবারে টুইট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এদিকে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বেশ চাপে পড়লেন। কলকাতা মোমিনপুর পেট্রোল পাম্পের সামনে মহম্মদ সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করলেন যৌনকর্মীদের। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেই সময় বাড়িতে ছিলেন কিনা জানা যায়নি যদিও। তাদের হাতে পোস্টার ছিল। তার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে ক্ষমাও দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে ভোটে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর, তোপ দাগলেন উপাচার্য বিল নিয়েও
চোখের চিকিৎসা করাতে বিদেশে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক মার্কিন মুলুক সফরের একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। সেই ছবির সূত্র ধরেই এই ধরণের কুরুচিকর আক্রমণ করে একটি টুইট করেন সিপিএম নেতা। তার টুইটে ইংরেজিতে ‘প্রস্টিটিউট’ শব্দের উল্লেখ ছিল, যাঁর বাংলা ‘পতিতা’। এবার তার এই মন্তব্যের জেরে মহম্মদ সেলিমকে তিন পাতার আইনি নোটিশ পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। আইনি নোটিসে অভিষেকের আইনজীবী এদিন লিখেছেন, সেলিম ওই টুইটের মাধ্যমে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। সেলিমকে পাঠানো চিঠিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী লিখেছেন, সেলিম যেন এই নোটিস পাওয়ার পর নিজের টুইটটি সরিয়ে নেন এবং ক্ষমা চেয়ে নেন। টুইটে ও সংবাদমাধ্যমে দুই জায়গাতেই ক্ষমতা চাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। অন্যথা, সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।