প্রতিবেদন : একবার হাইকোর্টে মুখ পুড়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল৷ শুধু তাই নয়, রীতিমতো ভর্ৎসিত হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দল পাঠিয়েছিল বাংলায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে গেলে আদালত স্পষ্ট জানায়, দল পাঠানোর অধিকারই নেই মানবাধিকার কমিশনের। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে সিলমোহর দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আরও একধাপ এগিয়ে বলে, সংবিধান-বিরোধী কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। বাতিল করে দেওয়া হয় স্পেশাল লিভ পিটিশন।
নির্বাচনে হারের পরিস্থিতি থাকলেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই রাজ্যগুলিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। কখনও সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স তদন্ত, তো কখনও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বাংলায় বিগত এক বছরে প্রায় ১৫০-এর বেশি টিম পাঠিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় আরও অনেক দলের সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিম পাঠানো হয়। আর সে নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিবাদ। অনৈতিক পদক্ষেপের কারণে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে যায়।
আরও পড়ুন- অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড রাঘব চাড্ডা, সরব বিরোধীরা
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার চলাকালীন সঙ্ঘর্ষের অভিযোগ তুলে জাতীয় মানিবাধিকার কমিশনের টিম পাঠায় কেন্দ্রের সরকার। সেই দল অনৈতিকভাবে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে একপেশে, মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশন জানায়, একজন ডিজি আসবেন কেন্দ্র থেকে, যিনি বাংলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে রিপোর্ট দেবেন। এরপরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে যায়। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, ডিজিকে পাঠাতে পারে না মানবাধিকার কমিশন। নির্বাচন ঘোষণার পর সমস্ত দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তার উপর হস্তক্ষেপ করা যায় না। এই পদক্ষেপ বেআইনি। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গেলে শুক্রবার বিচারপতি বি ভি নাগরত্নমের বেঞ্চ কার্যত ধুইয়ে দেয় মানবাধিকার কমিশনকে। বলেন, অতি-সক্রিয়তা দেখিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বেআইনি পদক্ষেপ। সংবিধান-বিরোধী কাজ। সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন। সেই সাংবিধানিক সংস্থার উপর এভাবে নজরদারি করা যায় না। বাতিল হয় মানবাধিকার কমিশনের এসএলপি। মুখ পুড়ল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। আর তাদের মদতদাতা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের।