১৬৫৭ দিন নেহাত কম নয়। এতগুলো দিন ইস্টবেঙ্গল (EastBengal) ডার্বিতে জয়ের (Derby win) মুখ দেখেনি। দিন বদলের আশায় একপ্রকার দিন গুনছিল লাল-হলুদ শিবির। অবশেষে আজ ৬১ মিনিটে নন্দকুমারের একমাত্র গোলে ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয় হল। লাল-হলুদের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। মরসুমের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন-‘আপনি জানেন বাংলা নব জাগরণের পুন্যভূমি, সংস্কৃতির মাটি’ মোদিকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মোহনবাগানের এএফসি কাপের ম্যাচ সামনেই। হুয়ান ফেরান্দোর নজরে ডার্বি জয় ছিলই, কিন্তু কোনরকম চোট না লাগে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। বলা যায় তাই ঝুঁকিহীন ফুটবলে নজর দিয়েছে মোহনবাগান। সাবস্টিটিউটে ছিলেন জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা ।
আরও পড়ুন-‘চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম’ মোদি সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
মোহনবাগান একপ্রকার সেট টিম। তাদের ডিফেন্স বাকিদের তুলনায় বেশি গোছানো। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল পুরো টিমটাই একপ্রকার নতুন। গত মরসুমে হাতে গোনা প্লেয়ার ছিলেন। তাছাড়া কোচও নতুন। প্লেয়ারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হতে সময় লাগবে। ডিফেন্স যদিও একটু নড়বড়ে। তার জেরেই মিডফিল্ড হোক বা আক্রমণ ভাগ, আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়া গেল না।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো জোড়া পরিবর্তন করেন। আর্মান্দো সাদিকু ও হুগো বোমাসের পরিবর্তে মাঠে জেসন কামিন্স ও দিমিত্রি পেত্রাতোস আসে। কিন্তু পরিস্থিতি উল্টো হল। ম্যাচের ৬১ মিনিটে নন্দকুমার সেকর ডান দিক থেকে বল নিয়ে উঠছিলেন । হঠাৎ গতি বাড়িয়ে সামনে অনিরুদ্ধ থাপাকে সরিয়ে বলটা ডান পা থেকে বাঁ পায়ে নিয়ে নিলেন। বক্সের ডান দিকে অনিরুদ্ধর সামনে থেকেই কোনাকুনি শট দিলেন তিনি। মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে আটকানোর সুযোগ ছিল না। ৬ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। এতদিন পর ইস্টবেঙ্গলের জয়ে লাল-হলুদ শিবিরের ও সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে জয়ের উল্লাস।