সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : জঙ্গলের আইন ভেঙে বেয়াদব হাতি (World Elephant day) গেল হাজতে। প্রায় দু’সপ্তাহ জঙ্গলের গারদে আটকে রাখা হয়েছে কুনকি হাতি শ্রীনিবাসকে। জলদাপাড়ার হলং সেন্ট্রাল পিলখানার এক কোণে ৫০ ফুট বাই ৫০ ফুটের বিদ্যুৎ-বেড়া ঘেরা এক টুকরো জমিই তার গারদ। কেন শ্রীনিবাসের হাজতবাস? ২০১৮-য় অন্য কয়েকটি হাতির সঙ্গে কর্নাটক থেকে বাংলায় আনা হয়েছিল তাকে। অন্যগুলো মানিয়ে নিলেও শ্রীনিবাসকে (World Elephant day) অনেক চেষ্টা করেও বাগে আনতে পারেননি মাহুত গণেশ বিশ্বশর্মা। কিছুদিন আগে শ্রীনিবাসের পাতাওয়ালা বলো ওরাওঁকে আঘাতও করে। এর পর তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয় চিলাপাতায়। বেঁকে বসেন মাহুত গণেশ। তিনিও কাজ ছেড়ে বাড়িতে চলে যান। সমস্যায় পড়তে হয় বনকর্তাদের। কারণ একমাত্র গণেশের কথাই শোনে শ্রীনিবাস। অন্য কেউ সামনে গেলেই তেড়ে আসে। এরপরই বনকর্তারা আইসোলেশনে পাঠাতে বাধ্য হন। ইলেকট্রিক ফেন্সিংয়ের ঘেরাটোপে লোহার বেড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে চার পা, মোটা দড়ি দিয়ে চারদিকে টানা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখানেই দূর থেকে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও জল। এখন দেখার, কবে মতিগতি ফেরে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর বলেন, শ্রীনিবাসকে নিয়ে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। আমরা কড়া নজর রাখছি যাতে কোনও বিপদ না ঘটে। কিছুদিন ওভাবে থাকার পরেও স্বভাব পরিবর্তন না হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
আরও পড়ুন- কলকাতার পর এই রাজ্যে প্রথম জেলা কোচবিহার, পাইপলাইনে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস