প্রতিবেদন : তেইশেই শেষ। এবছর ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় শেষবারের মতো জাতীয় পতাকা তুলবেন নরেন্দ্র মোদি। চব্বিশের ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করবেন ‘ইন্ডিয়া’-র (I.N.D.I.A) প্রধানমন্ত্রী। শনিবার এই ভাষাতেই দিল্লির মসনদ থেকে বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা (Shashi Panja) তীব্র আক্রমণ করেন গেরুয়া শিবিরকে। কুণাল বলেন, মোদিজি বাংলা নিয়ে ভীত। ভয় পাচ্ছেন। তাই ঘুরেফিরে বারবার তাঁর মুখে বাংলার কথা উঠে আসছে। বাংলাকে দমিয়ে রাখতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। চলছে বিরামহীন কুৎসা। বাংলাকে অপদস্থ করতে ভেদাভেদের রাজনীতি, হানাহানির রাজনীতি কোনও চেষ্টাই বাদ রাখছে না বিজেপি। একদিকে তাঁরা বাংলার বদনাম করছেন। আর বাংলাই একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার পাচ্ছে। মোদিজি দুর্নীতির কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ছেন। আর অসম, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে মতো ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা একই সুরে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, মোদিজির দল বুঝে গিয়েছে, দেশের জনতা আর তাঁদের দিকে নেই। তাই তাঁরা এখন কৌশলে জনতার রায় ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে একটা আইন পাশ করল বিজেপির মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যেতে পারেন না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন না। সংবাদমাধ্যমের কোনও স্বাধীনতা নেই। শুধু মিথ্যা ভাষণ চলছে। ওরা ভেবেছিল পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে। এখন হেরে গিয়ে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে নেমেছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে দলিতদের ওপর আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার চলছে। এসব থেকে নজর ঘোরাতে বাংলা নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। দেশকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। তারা বলছে আরও ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন, মোদিজির সরকারের আয়ু আর মাত্র ৬ মাস।
আরও পড়ুন- মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিচ্ছেন পুজোর মহিলা উদ্যোক্তারা