প্রতিবেদন : বউবাজারের (Bowbazar- Metro) ভূগর্ভস্থ মেট্রো টানেলে দুর্ঘটনা রুখতে এবারে ব্যবহার করা হবে নরওয়ের প্রযুক্তি। প্রবেশ করানো হবে তরল নাইট্রোজেন। গ্রাউন্ড-ফ্রস্ট পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ফ্রিজ করে দেওয়া মাটির নিচের জল। এর ফলে এড়ানো সম্ভব হবে ভবিষ্যতের বিপদ। এই প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য হল, -১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনকে মাটির নিচে প্রবেশ করিয়ে জলকে ফ্রিজ করিয়ে দেয়। ফলে অত্যন্ত শক্তপোক্ত হয়ে যায় মাটি। ধস নামার সম্ভাবনা কমে যায়। নরওয়ের বিজ্ঞানীর এই প্রযুক্তির ভিত্তি ১৬০ বছরের পুরনো বলে দাবি করা হয়েছে মেট্রো সূত্রে। জামশেদপুর থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে এই তরল নাইট্রোজেন। ঠিক কীভাবে প্রবেশ করানো হবে এই তরল নাইট্রোজেন? বউবাজার থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট পর্যন্ত মাটির নিচে অনেকগুলো বড় গর্ত করে মাটির ১৬ মিটার নিচে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে বেশ কয়েকটি পাইপ। প্রতি গর্তে পাইপের সংখ্যা হবে ৮ থেকে ১০টা। তরল নাইট্রোজেনের দৌলতে প্রতিটি পাইপ ঘিরে এক মিটার জায়গাজুড়ে থাকা মাটির নিচের জল বরফে পরিণত হবে। অগাস্টের মধ্যেই এই নতুন প্রযুক্তিতে কাজ শুরু করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেএমআরসিএল। মাস চারেকের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা। লক্ষণীয়, মেট্রোর কাজ চলার সময় বারবার মাটি আলগা হয়ে ধস নামার ঘটনা ঘটেছে বউবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি। বিপর্যস্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও বারবার থমকে দাঁড়িয়েছে মেট্রো (Bowbazar- Metro) রেলের কাজ। শেষ পর্যায়ে নরওয়ের গ্রাউন্ড-ফ্রস্ট প্রযুক্তি নিতে চলেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা।
আরও পড়ুন- চব্বিশে দিল্লিতে জাতীয় পতাকা তুলবেন ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রী