উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে বেশ সরগরম কোচবিহার দিনহাটা। একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিপর্যয় হয়েছিল কিন্তু দিনহাটা আসনটি মাত্র ৫৭ ভোটের মার্জিনে জিতে যায় বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। যদিও বিজেপি সরকার গঠন করতে না পারায় দিনহাটা থেকে ইস্তফা দিয়ে নিশীথ পালিয়ে যান। তাই আবার দিনহাটায় নির্বাচন। দিনহাটার মানুষ ৫ মাস ধরে বিধায়ক না পেয়ে দিশেহারা বলা যায়।
৩০ অক্টোবর দিনহাটা উপনির্বাচন। শাসক তৃণমূলের প্রার্থী উদয়ন গুহ। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অশোক মন্ডল। প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে সকলের প্রশ্ন, “নিশীথ কোথায়?” শাসক দলের কাছে সাধারণ মানুষের এই ব্যবহার যে রাজনৈতিক হাতিয়ার সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
আরও পড়ুন-মোদিতন্ত্রে সুশাসন কোথায়?
এদিকে বিজেপি তাদের প্রচারকদের তালিকায় নাম রেখেছে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। আর এটাই তৃণমূলের বাড়তি সুবিধা বলে দাবি করেছেন উদয়ন গুহ। নিশীথ প্রামানিক দিনহাটায় বিজেপি হয়ে যতই মুখ দেখাবে ততই তৃণমূলের ভোট বাড়বে বলেই দাবি উদয়নের। উপনির্বাচনের আগে এইভাবেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। মানুষ কি দুষ্কৃতীকে ভোট দেবে?
তৃণমূলে প্রার্থী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “নিশীথ প্রামাণিক প্রচার করতে এলে আখেরে লাভ হবে তৃণমূলেরই। কারণ নিশীথকে মানুষ পছন্দ করে না। ওর জন্যই মানুষ দিনহাটায় বিপদে পড়েছে। এই কেন্দ্র বিধায়কহীন থেকেছে। ফের একবার নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ওকে দেখলে মানুষ আর ভোট দেবে না। তৃণমূলের সুবিধা হবে।”
এখানেই শেষ নয়। নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে উদয়ন গুহ জানালেন, “নিশীথ প্রামানিক একটি ডাকাতি কেসের আসামি। রাজনৈতিকভাবে অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আমার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। কিন্তু সেগুলি সবই রাজনৈতিক কারণে। আর নিশীথ প্রামানিক একটি ডাকাতি কেসের কুখ্যাত আসামি। একটু সোনার দোকানে ডাকাতি কেসে নিশীথ প্রামাণিকের নাম উঠে এসেছিল। সেটা তাকে প্রার্থী হওয়ার সময় নির্বাচনী হলফনামাতেও জানাতে হয়। এবং কোনও রাজনৈতিক দল নয়, নিশীথের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা করেছিল সোনার দোকানের মালিক। তখন নিশীথের কোনও রাজনৈতিক পরিচয়ও ছিল না। শুধু দিনহাটা নয়, গোটা কোচবিহারের মানুষ এই ঘটনা জানে। তাছাড়া ও বিধানসভা ভোটে জেতার পর এখানকার মানুষকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। সেটা সাধারন বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও মেনে নিতে পারছে না। সবমিলিয়ে দিনহাটায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। তাই আমরা এখনে জয় নয়, ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ভোটের ময়দানে প্রচার চালাচ্ছি।”