প্রতিবেদন: ‘দীপ নেভানো খুনিদের শাস্তি চাই’। দাবি জানিয়ে সোমবার শহরে বিশাল মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুবরা। মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (Jadavpur- TMCP)। ঢাকুরিয়া থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদ সভা। সভা থেকে স্বপ্নদীপের খুনিদের শাস্তির দাবি তোলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী, সমর্থকরা। কালো ব্যাজ, কালো পতাকা নিয়ে শহর ও শহরতলির একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় হাজার দশেকের বেশি পড়ুয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করে। কার কারও হাতে ছিল প্রদীপ। আর কোনও স্বপ্নের দীপ যেন নিভে না যায়, তার জন্য এই প্রদীপ জ্বালিয়ে দেখানো হল প্রতীকী প্রতিবাদ। পড়ুয়াদের পাশাপাশি যাদবপুর-সহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তনী, অধ্যাপক, কর্মী ও বিশিষ্টজনেরা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। তাঁরা পরে এসে মূল মিছিলে যোগ দেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য,-সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি ও যাদবপুরের (Jadavpur- TMCP) প্ৰাক্তনী জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, বাম ও অতি বামদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পড়ুয়ারা। এত বড় ঘটনা ঘটল, এরপরও কোথায় প্রতিবাদ? কোথায় হোক কলবর? কেন নীরব যাদবপুরের প্রতিবাদীরা? রাতের অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অসামাজিক কাজকর্ম হয়, এদিন প্রায় সকল বক্তাই সেকথা তুলে ধরেন। সভায় ফোনে স্বপ্নদীপের মামাও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের ভূমিকাও সমালোচনার মুখে। ঘটনার ঝাড়া পাঁচদিন পর এদিন ক্যাম্পাসে এসে একপ্রস্থ নাটক করেন তিনি।