প্রতিবেদন : বেআইনি বুলডোজার নীতিতে দেশের আইনকে প্রতিনিয়ত পদদলিত করা হচ্ছে যে রাজ্যে, বিজেপি-শাসিত সেই উত্তরপ্রদেশে এবার নতুন কাণ্ড! যোগী প্রশাসনের উদ্যোগে বিধানসভায় চালু হচ্ছে ‘একুশে আইন’। আর তাতে নতুন নিয়ম চালুর নাম করে নাগরিক অধিকারে কোপ বসিয়েছে বিজেপি সরকার। আজব সেই ফরমানে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে জোরে হাসির উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।
বিধানসভায় যোগী প্রশাসনের একুশে আইনে ঠিক কী কী বলা হয়েছে?
আরও পড়ুন-দেশবাসীকে শুভেচ্ছা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের
* জোরে হাসা যাবে না।
* ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন।
* প্রতিবাদ দেখানোর সময় ছেঁড়া যাবে না কোনও কাগজপত্র।
* যখন কেউ বক্তব্য রাখবেন বা কারও প্রশংসা করবেন তখন আঙুল তোলা যাবে না।
* স্পিকারের দিকে পিছন ফিরে বসা বা দাঁড়ানো যাবে না।
* কোনও ধরনের অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যাবে না।
* লবি চত্বরে দাঁড়িয়ে কথা বলা, জোরে হাসা ও ধূমপান করা যাবে না।
* স্পিকারের চেয়ারের দিকে মাথা নত করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুন-অমৃত মহোৎসবে চাওয়া পাওয়ার খতিয়ান
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার সতীশ মোহানা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ১৯৫৮ সাল থেকে যে নিয়মবিধি কার্যকর ছিল ২০২৩ সালে তার পরিবর্তন করা হচ্ছে। নতুন নিয়মবিধি ইতিমধ্যেই পাশ হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, নতুন নিয়মে বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যকে স্পিকারের চেয়ারের দিকে মাথা নত করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। অধিবেশন কক্ষে ঢোকা ও বেরনোর সময় বা বসা ও ওঠার সময়ও স্পিকারের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ানো যাবে না।
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের বিরাট দুর্নীতি, ক্যাগ রিপোর্টে পর্দা ফাঁস
চোদ্দোদিন আগে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার নিয়ম ছিল, তা কমে সাতদিন করা হচ্ছে। সভাকক্ষ থেকে কোনওরকম বই, নথিপত্রও নেওয়া যাবে না। বিরোধীরা সমালোচনা করেছেন যোগীরাজ্যের এই একুশে আইন নিয়ে। তাঁদের কটাক্ষ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোপ বসানোর চেষ্টা থেকে বাদ যাচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরাও। বিজেপি আমলে যেভাবে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হচ্ছে সেই ধারাই আইনসভাতেও চালু করতে চাইছে যোগী প্রশাসন।