প্রতিবেদন : আসন্ন নির্বাচনে শিক্ষিত প্রার্থীদের ভোট দেওয়া উচিত। পড়ুয়াদের উদ্দেশে এই কথা বলার অপরাধে বরখাস্ত করা হল কর্নাটকের ‘ইউনাকাডেমি’ (Unacademy) নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। ওই শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে প্রতিষ্ঠানটির নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। করণ সাংওয়ান নামের ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করার পর নেটিজেনদের বক্তব্য, তিনি আসলে বিজেপির উদ্দেশ্যেই এই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন পড়ুয়াদের। যদিও শিক্ষককে বরখাস্ত করার ঘটনাকে সমর্থন করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
ঘটনার পর ইউনাকাডেমির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোমান সাইনির বক্তব্য, করণ সাংওয়ান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন এবং ফলস্বরূপ, কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করেছে। সাইনি দাবি করেছেন যে ইউনাকাডেমি শিক্ষার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম যা শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রদান করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ুয়াদের উদ্দেশে ওই শিক্ষকের দেওয়া বার্তা ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে ওই শিক্ষক বলছেন, পরেরবার যখন ভোট দেবেন মনে রাখবেন, একজন শিক্ষিত ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে হবে আপনাদের। যাতে এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন আপনারা, তা না আসে। এমন ব্যক্তিকে ভোট দিন যিনি বিষয়গুলো বোঝেন। আপনার সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওই শিক্ষক আসলে নাম না করে বিজেপি নেতাদের ভোট না দেওয়ার ইঙ্গিত করেছিলেন পড়ুয়াদের কাছে। ঘটনার নিন্দা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে ইউনাকাডেমির (Unacademy) প্রতিষ্ঠাতাদের পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। সেইসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইউনাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা গৌরব মুঞ্জালের একটি সেলফি শেয়ার করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, শিক্ষিত লোকদের ভোট দেওয়ার আবেদন করা কি অপরাধ? কেউ নিরক্ষর হলেও ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে সম্মান করি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা নিরক্ষর হতে পারেন না।
এটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। নিরক্ষর জনপ্রতিনিধিরা কখনই একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক ভারত গড়তে পারে না।
আরও পড়ুন-যাদবপুরে টিএমসিপির নতুন ইউনিট কমিটি