প্রতিবেদন : পাখির চোখ কর্মসংস্থান। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে একই সঙ্গে রাজ্যে শিল্পায়ন এবং বিদেশে পণ্য রফতানি বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শিল্প, বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের বরাদ্দ ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ ব্যবহার করে রাজ্যের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে। রফতানি বাণিজ্যে গতি আনতে দ্রুত পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে সড়ক, রেল ও জলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে মজবুত করার ওপর জোর দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার আগামী ১০ বছরের মধ্যে রফতানি বাণিজ্যকে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
আরও পড়ুন-সাংবাদিক খুন বিহারে সাক্ষ্য লোপাটে, ষড়যন্ত্র?
সেজন্য উন্নত পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরোহিত্যে শুক্রবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। সেখানে শিল্পায়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে একাধিক বিষয়ে আলোচিত হয়। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিকাঠামো কাউন্সিলের প্রধান সঞ্জয় বুধিয়া, বিভিন্ন রফতানিকারী সংস্থা ও বণিকসভার প্রতিনিধিরা। বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া টাকা ব্যবহার করে রাজ্য সরকার পণ্য মজুত রাখার উন্নতমানের পরিকাঠামো ও দ্রুতগতির পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে। এর পরিবেশগত এবং সামাজিক দিক সহ নানা বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-বেছে বেছে বিলকিসের গণধর্ষকদেরই মুক্তি কেন? সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে গুজরাত সরকার
আসন্ন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে রাজ্যের উৎপাদকদের সমন্বয় বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রাজ্যের তৈরি পণ্যের রফতানি বাড়ানোর বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচিত হয়। শিল্পসম্ভাবনা উজ্জ্বল এমন জায়গাগুলিতে উন্নত রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ করা হবে। দ্রুত পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে জোর দেওয়া হবে সড়ক, রেল ও জলপথের সমন্বয়ের ওপর। লজিস্টিকস ক্ষেত্রে কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-হাতি মেরে দাঁত পাচারে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী
বাণিজ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক নীতি নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক করিডর পলিসি। এর মাধ্যমে অন্য আমদানি রফতানির জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাকে সংযুক্ত করে আলাদা করিডর তৈরি করা হবে। প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি করিডর তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। ৩৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রঘুনাথপুর-ডানকুনি-তাজপুর করিডর তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-ঝড়গ্রামের মধ্যে দুটি শিল্প এবং অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডর নির্মাণে গতি আনার ওপরেও বৈঠকে জোর দেন মুখ্যসচিব।