প্রতিবেদন : শুরু থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই মতো প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ শিল্পোদ্যোক্তার অংশগ্রহণে শেষ হলো রাজ্য সরকারের অভিনব শিল্পের সমাধানে কর্মসূচি। আসন্ন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহিত করতে গত পয়লা আগস্ট থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার ছিল ওই কর্মসূচির শেষ দিন। প্রথম থেকেই ব্যাপক সাড়া পড়ে ওই কর্মসূচিতে। যা অব্যাহত ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-আজ জয়ে ফিরতে মরিয়া মোহনবাগান
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে এক থেকে ১৮ই আগস্ট পর্যন্ত শিল্পের সমাধানে কর্মসূচিতে মোট ২৯৩০টি শিবিরের আয়োজন করা হয়। যাতে অংশ নিয়েছেন ৫ লক্ষ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে শুক্রবার কর্মসূচির শেষ দিনে মোট ১৬৯টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা স্তরের কর্মসূচির আয়োজন করা হয় হাওড়ার বালটিকুরি, শিল্প তালুক এবং ট্যাংরা ও কসবা এলাকায় রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের জমিতে। রাজ্য শিল্পন্নয়ন নিগমের তথ্য অনুযায়ী শেষ দিনে ঐ কর্মসূচিতে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন মোট ২৩৯০ জন উদ্যোগপতি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে রাজ্যকে শিল্পে দেশের এক নম্বর করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে ভিত্তি করতে চেয়েছে রাজ্য সরকার। তাই এই শিল্পে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েই নভেম্বরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে নবান্ন। তার প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় জেলায় ‘শিল্পের সমাধানে’ শিবির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন-ফাইনালে আজ স্পেন বনাম ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তিনে সুইডেন
মূলধন জোগাড় থেকে শুরু করে পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কী কী করা উচিত, তা জানানো হয় উদ্যোগী যুবক-যুবতীদের। রেডিমেড পোশাক, শালপাতার বাসন তৈরি, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের বাসন তৈরি, চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে ফাস্ট ফুডের ব্যবসা। এরকম ৭০টি ব্যবসার জন্য আলাদা আলাদা ‘মডেল ডিপিআর’ তৈরি করেছে রাজ্য। শিবিরে আগ্রহীদের হাতে সেই ডিপিআর তুলে দেওয়া হয়। মূলধনের প্রয়োজন থাকলে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের অধীনে শিবির থেকেই ঋণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ক্ষুদ্রশিল্প দপ্তরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী।
আরও পড়ুন-ময়দানের মহীরুহ
সরকারি নথি অনুযায়ী, প্রথম চারদিনেই ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আসেন ‘শিল্পের সমাধানে’ শিবিরে। সেখানে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা ‘উদ্যম’ পোর্টালে নিজেদের নাম তুলতে পেরেছেন। এই পোর্টালে নাম থাকলে সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁরা ব্যবসার টাকা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। শিবিরে এসে তাঁতিরাও নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তম দুয়ারে সরকার শিবির। নবান্ন সূত্রে খবর, সেখানেও হস্তশিল্পী, তাঁতশিল্পীরা ‘উদ্যম’ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।